চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি চুড়ান্ত হওয়ার খবরে দুই পক্ষের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের জানালার কাচ ভাঙচুর করে দু‘পক্ষই। বুধবার মধ্যরাতে সংঘর্ষ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। এ ঘটনায় হলগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা রাতেই ক্যাম্পাসে অবস্থান নিই।
ভোরের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে এ নিয়ে দু‘পক্ষের মাঝে উত্তেজনা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি চূড়ান্ত হওয়ার খবরে শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির
সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারীরা বুধবার মধ্যরাতেই ক্যাম্পাসে স্লোগান দিতে থাকে।
এর জেরে সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় তারা সোহরাওয়ার্দী হল, শাহ আমানত ও আলাওল হলের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে। এছাড়া বিভিন্ন হলে থাকা সুজনের অনুসারীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন। পরে সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরাও ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে।
কমিটিতে সুজনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জীবনকে সভাপতি করা হয়েছে এমন খবরে সুজনের অনুসারীরা প্রথমে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
আলাওল হলের ছাত্র এমএইচ মাসুম জানান, রাত একটার দিকে ছাত্রলীগের কিছু ছেলে এসে হলে পাথর ছুড়ে। এতে ওই হলের নিচে ও উপরের তলার জানালার কিছু কাচ ভেঙে যায়।
এএফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ফাহিম হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার নাম ধরে গালি দেন সুজনের অনুসারীরা। এ সময় আসন্ন ছাত্রলীগের কমিটিতে তাদের নাম না থাকায় বিভিন্ন ধরনের স্লোগানও দেন।