পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সম্মানের সাথে সে দেশে পাঠানোই এখন জরুরি। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম বন্দরের এক নম্বর জেটিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো দ্বিতীয় পর্যায়ে মানবিক সহায়তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, ত্রাণ সাহায্য দিয়েই কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই। সাহায্যের চেয়ে বেশি প্রয়োজন মিয়ানমার থেকে আগত বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের সসম্মানে ফিরিয়ে নেওয়া।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ। সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, আমরা কৃতজ্ঞ। পরস্পরের বন্ধু দেশ, একজন আরেকজনের সাহায্যে এগিয়ে যাব সেই প্রতিশ্রæতি আমাদের রয়েছে। মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে যেন তাদের নাগরিক ফিরিয়ে নেয় সেজন্য তাদেরকে (ভারতকে) অনুরোধ করতে চাই। আপনারা আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করুন, তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।
ইতিমধ্যে মিয়ানমার থেকে ১২ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই অল্প সময়ের মধ্যে ১১ লাখ ১২ হাজার ৩০৮ জন নাগরিককে রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম হয়েছি। ৩০টি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ৩৬ হাজার ৩৭৩ এতিম শিশুকে শনাক্ত করতে পেরেছি। ৯ কিলোমিটার বিদ্যুতায়ন, ১৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক হয়েছে এবং পানির জন্য ১০ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। ত্রাণ সহায়তার উদ্যোগ নেওয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
এর আগে অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, এটা মানবিক বিপর্যয়। এত বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষের দেখাশোনায় বাংলাদেশের যে প্রচেষ্টা তাকে আমরা পুরোদমে সমর্থন জানাই। শ্রিংলা বলেন, এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ঢল বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের সহযোগিতা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয় এবং এই কাজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি ও সমর্থন পাবার দাবিদার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দ্বিতীয় ধাপে ভারতের বিশখাপত্তনম বন্দর থেকে আসা আইএনএস ঐরাবত জাহাজটি মোট ৩৭৩ মেট্রিক টন ত্রাণ নিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এতে আছে ১০৪ মেট্রিক টন গুড়ো দুধ, ১০২ মেট্রিক টন শুটকি, ৬১ মেট্রিক টন শিশু খাদ্য, ৫০ হাজার রেইনকোট ও ৫০ হাজার জোড়া গামবুট। এরআগে প্রথম ধাপে ‘অপারেশন ইনসানিয়াত’ এর অধেীনে ৯৮১ মেট্রিক টন ত্রাণ দিয়েছিল ভারত। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) মোঃ জাফর আলম, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন ও ঐরাবত জাহাজের কমান্ডার এ অশোক উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।