পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গঠনতন্ত্রে আছে ২ বছর পর পর ছাত্রলীগের সম্মেলন হবে। কেন্দ্র কিছুটা গঠনতন্ত্র ফলো করলেও অধিকাংশ জেলা-উপজেলায় তা করা হয় না। দুই বছরের কমিটি কোথাও কোথাও চার বছর, কোথাও ৬ বছর থেকে এক যুগ পর্যন্ত সম্মেলনের তাগিদ নেই। কেন্দ্র থেকে বার বার তাগাদা দেয়া হলেও বাস্তবায়ন করা হয় না। সে রকম একটি জেলা কুমিল্লা উত্তর ছাত্রলীগ। ২০১৪ সালে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এতে সভাপতি হন আবু কাউসার অনিক ও সাধারণ সম্পাদক হন ফরহাদ হোসেন ফকির। মেয়াদউর্ত্তীর্ণ ও বিবাহিত, পুর্ণাঙ্গ কমিটি না করা দিয়েই শেষ হয়েছে দুই বছরের কমিটির চার বছর। কয়েক দফা কেন্দ্র সম্মেলনের উদ্যোগ নিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার বিরোধী আন্দোলন প্রতিরোধেও তাদের কোন সক্রিয় ভূমিকা নেই। কমিটির নেতারা ফেসবুকের মাধ্যমেই রাজনীতি করছেন। কোন কর্মসূচিতে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ সাধারণ নেতাকর্মীদের। পদপ্রত্যাশীদের কথা, মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ ছাত্রলীগের সম্মেলন হবে কবে?
জানা গেছে, চার বছর শেষ হতে চললেও আজ পর্যন্ত কোন পরিচিতি সভা/কর্মী সভা করতে পারেনি মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি। সভাপতি অনিকের নিজ উপজেলায় এখন পর্যন্ত কমিটি দিতে পারেনি। তিনি বিবাহিত হলেও তা গোপন রেখেছেন বলে অভিযোগ। সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ফকির ঢাকার ধানমন্ডিতে প্রায় আড়াই মাস মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি ছিলেন। চান্দিনা উপজেলায় বর্তমান এমপি সাবেক ডেপুটি স্পিকার আলী আশরাফ সাহেবের সুপারিশকৃত কমিটি (যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে) অনুমোদন না করে, সম্ভাব্য এক মনোনয়ন প্রত্যাশীর অনুসারীদের কমিটি দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগকে মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মুরাদনগর উপজেলা ও বাঙ্গরা বাজার থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী এবং গঠনতন্ত্র বিরোধী কমিটি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উত্তর জেলার অধীনে চান্দিনা মৌখিকভাবে কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হোমনা উপজেলা ৩১ বছরের একজনকে আহŸায়ক করা হয়েছে, অথচ গঠনতন্ত্রে ২৭ বছরের উপরে কেউ ছাত্রলীগ করতে পারবে না। তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়নি।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের আগ মুহুর্তে বিভিন্ন জেলা ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটে কমিটি গঠনের তোড়জোর থাকলেও দুই দফা উদ্যোগ নিয়ে সম্মেলন করানো যায়নি কুমিল্লা উত্তর জেলাকে। কমিটিতে অনেক অনুপ্রবেশকারী এবং নিস্ক্রিয় নেতা থাকায় ঝিমিয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় পদপ্রত্যাশীরা সংগঠন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মুহুর্তে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আনা না হলে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন প্রতিরোধ এই কমিটির নেতাদের দিয়ে সম্ভব হবে না।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউসার অনিক ইনকিলাবকে বলেন, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর আমাদের সম্মেলন হলেও আমরা কমিটি পেয়েছি ‘১৫ সালে। সে অনুযায়ী আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। আমরা একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে সম্মেলন সময় চেয়েছি। কিন্তু তারা সময় দিতে না পারায় আমাদের সম্মেলন হয়নি। এছাড়া, আমরা কমিটি পাওয়ার পরপরই কুমিল্লায় শুরু হয় বিএনপি জামায়াতের পেট্রোল বোমা হামলা। এসব আমাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে। কুমিল্লা উত্তর কোনো জেলা নয়। সাংগঠনিক জেলা। ওই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা কোন প্রশাসনিক সাপোর্টও পাইনি। নেতাকর্মীদের নিয়ে ছাত্রলীগকে একাই লড়াই করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের নাকি এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এটা সত্য নয়। আমরা ১৩১ সদস্যর পূর্নাঙ্গ কমিটি করেছি। পরে কেন্দ্র কমিটির পরিধি ১৫১ অনুমোদন করলেও বাকী ৩০সদস্য আমরা পূরণ করতে পারিনি।
অনিক বলেন, আমার সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয় যে তিনি নাকি মাদক নিরাময় ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন। এটাও অসত্য। আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করতে রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›িদ্বরা এ ধরণের মিথ্যা প্রচারণা চালায়। বিষয়টি দুঃখজনক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।