পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা ভারতে নালিশ করতে যাইনি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কথা বলতে গিয়েছি। বিএনপিকে নিয়ে আমাদের চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। তারা নিজেরা নিজেরাই চোরাবালিতে আটকে আছে। গতকাল (শনিবার) লেডিস ক্লাবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত তৃণমূলের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তৃণমূলই আওয়ামী লীগের শক্তি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকাকে বিজয়ী করার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এনে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উন্নীত করেছেন। তার সাহসী পদক্ষেপের ফলে সমুদ্র সীমা অর্জন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির রায়কে কার্যকর হয়েছে। প্রায় ১০ লাখ বিপন্ন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে তিনি মানবতার নেত্রী হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের ৯ বছরের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সাফল্য যেন কেউ মøান করে দিতে না পারে এরজন্য দলের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে। কোন অপরাধী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী যেন দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
অতিসম্প্রতি ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নরেন্দ্র মোদী ভারতের সম-সাময়িককালের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। ওনার কাছে ৫-১০ মিনিটের সময় পাওয়া খুব কঠিন। তিনি আমাদের প্রতিনিধিদের ৩২ মিনিট সময় দিয়েছেন। আমাদের সাথে প্রাণখুলে কথা বলেছেন। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর তার আস্থা আছে। রোহিঙ্গা সমস্যার মতো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম এবং বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডায়ানামিক, ক্যারিশমেটিক, ক্রিয়েটিভ লিডারশিপের জন্য সম্ভব হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা ভারতে ক্ষমতাসীন দলের সাথে বৈঠক করেছি। কয়েকজন মন্ত্রীসহ সামরিক, বেসামরিক, আমলাসহ সবার উপস্থিতিতে আমরা ডিনারে অংশ নিয়েছি। সেখানে জাতীয় স্বার্থ নিয়ে বক্তব্য রেখেছি। সেখানে একটা দৃষ্টান্ত রেখে এসেছি। দেশে আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে একে অপরকে আক্রমন করি। কেউ রাজনৈতিক ভাষায়, আবার অনেকে অরাজনৈতিক ভাষায়ও করে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটা কথাও বলিনি। আমাদের দেশকে আমরা ছোট করতে চাই না। নালিশ করিনি, নালিশ করতে যাইনি। গিয়েছি আমাদের জাতীয় স্বার্থের কথা বলতে। গিয়েছি রোহিঙ্গাদের পাশে ভারতের অব্যাহত সমর্থন চাইতে। একাত্তরে যেমন ভারত আমাদের পাশে ছিলো, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটেও আজকে ভারত আবারো আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারতকে বলেছি, আমাদের উত্তর জনপদ শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির জন্য হাহাকার। অনুরোধ করেছি ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ নেতৃবৃন্দকে তিস্তা নদীর পানি বন্টন, আমাদের ন্যায় সংগত হিস্যা এবং সীমান্ত চুক্তির বিষয় সংক্রান্ত বিষয়ে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপশক্তি রুখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিতকরণ, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে উক্ত বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে উদ্বোধনী বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলে এমন কোন শক্তি নেই আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে। ষড়যন্ত্রের সকল অপতৎপরতাকে রুখে দিয়ে আগামীতে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ১০টি টিমে বিভক্ত হয়ে মহানগরীর ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য কার্যক্রম শুরু করেছি। যার মাধ্যমে আমরা প্রতিটি এলাকায় সরাসরি তদারকির মাধ্যমে সৎ, যোগ্য বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ব্যক্তিদের দলের সদস্য করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এ কার্যক্রম আরো সুষ্ঠু এবং গতিশীল করতে এ প্রক্রিয়া আমাদের চলমান থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মোঃ আফছারুল আমিন, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।