বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপি যাতে আগামী নির্বাচনে অংশ না নেয় সেজন্য সরকারের সব আয়োজন চলছে। যতই নির্বাচনের কাছাকাছি যাচ্ছি ততই মনে হয় সরকার আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সুষ্ঠু নির্বাচন রুখতে যত রকমের ষড়যন্ত্র করা যায় সেগুলো তারা করছে।
শনিবার (৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন সরকারের স্বার্থে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যত পদক্ষেপ নিচ্ছে সব সরকারি প্রার্থীদের বিজয়ী ও বিরোধীদের পরাজিত করার জন্য।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে মওদুদ বলেন, যে কমিশন আছে তাদের পক্ষে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়। কারণ গাজীপুর ও খুলনায় সরকার সমর্থকরা প্রতিদিন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছে। কিন্তু কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
সরকার দলীয় প্রার্থীদের সুবিধার জন্য নির্বাচন কমিশন অনেকগুলো আসনে সীমানা পুনঃনির্ধারণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বিএনপির সব নেতাদের নামে মামলা দিয়ে তারা এমনভাবে এগুচ্ছে যাতে আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারি। এই ষড়যন্ত্র থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই। আগামী ডিসেম্বরে যে নির্বাচন হবে, সে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে এই ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। তার আগে এই নির্বাচন কমিশনকে গণজোয়ারের মাধ্যমে ধংস করা হবে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মোহাম্মদ মাসুক মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।