পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : আগামী বর্ষা মৌসুমে দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি এবং প্রত্যাবাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওআইসি জাতিসংঘের পাশে থেকে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের জন্য কাজ করবে। গতকাল শুক্রবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওআইসি›র মন্ত্রী-সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। তারা এ সময় জানান, আজ ও আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি প্রাধান্য পাবে।
প্রতিনিধি দলের প্রধান হাশেম ইউছেফ বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যে নিপীড়ন-নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণঘ্যুা চালানো হয়েছে তার জন্য বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু থেকে ওআইসি বাংলাদেশের ভ‚মিকার জন্য প্রশংসিত উদ্যোগের পক্ষে কাজ করছে। এখন এ সঙ্কটের সমাধানের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে প্রধান আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা ইস্যু।
ওআইসির প্রতিনিধিরা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের তৈরি। তাই মিয়ানমারকে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গারা সম্মানজনকভাবে নিরাপদে যেন স্বদেশে ফিরে গিয়ে তাদের বসতবাড়িতে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে তার জন্য পরিবেশ তৈরির দায়িত্বও মিয়ানমার সরকারের। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছে ওআইসির প্রতিনিধি দল চার ভাগে বিভক্ত হয়ে বালুখালী ময়নার ঘোনা, কুতুপালং শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেন। কুতুপালং ডি ফাইভ এলাকায় নির্যাতিত রোহিঙ্গা নর-নারী ও শিশুদের সাথে কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দলের সাথে কি কথা হয়েছে তা সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ না করলেও রোহিঙ্গা মাঝি হামিদ হোসাইন জানান, ওআইসির প্রতিনিধি দল তাদেরকে আশ্বস্ত করেছে রোহিঙ্গাদের সম্মানজনকভাবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারে নাগরিক অধিকার অর্জন করে সুন্দরভাবে জীবন-যাপন ও ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে সে জন্য ওআইসির প্রতিনিধি দল জাতিসংঘকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করবে।
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মন্নান, ডিআইজি মনিরুজ্জামান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড. মো. ইকবাল হোসেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জমান চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল চাই লাউ মার্মা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।