Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ ‘ইয়াং টাইগার’

এফবিসিসিআই’র সঙ্গে বৈঠকে থাইল্যান্ড প্রতিনিধিদল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশকে ‘ইয়াং টাইগার’ উল্লেখ করে দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড। সরাসরি সড়ক ও সমুদ্রপথে যোগাযোগ বাড়াতে বন্দর ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো উন্নয়নেও আগ্রহী দেশটি। থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলটি, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ‘ইয়াং টাইগার’ হিসেবে অভিহিত করেন। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সবচেয়ে অনকূল পরিবেশ বিরাজ করছে বলেও মনে করছেন তারা।
গতকার বৃহস্পতিবার রাজধানীর চেম্বার ভবনের এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বিজনেস ডায়ালগ’ এ বক্তাদের আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগমন্ত্রী ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট এই উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিনিধি দলে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বোর্ডের মহাসচিবসহ থাই সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন। এর আগে প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে গত বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে বৈঠক করেছে।
থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলটি মনে করে, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে বর্তমানে অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। তাই প্রতিনিধি দলের প্রধান থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এখনই উত্তম সময়। অনুষ্ঠান শেষে এক বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। মুক্ত আলোচনায় থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক সংস্কার ও বিনিয়োগমন্ত্রী ড. কুবসেক পুত্রাকুল জানান, থাইল্যান্ড বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিশেষত বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল করিডোরে দেশটি যুক্ত হতে চায়। সড়কপথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে দেশটি বিনিয়োগ করতে চায়। এক্ষেত্রে তারা ‘ওয়ান বাই ওয়ান’ অবকাঠামোকে প্রধান্য দেবে। এছাড়া দুই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বন্দরের উন্নয়নেও তার দেশ বিনিয়োগে আগ্রহী।
অনুষ্ঠানে দুই দেশের আমদানি-রফতানির চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে রপ্তানি হয়েছে ৪৮.৫৭ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে থাইল্যান্ড থেকে আমদানি হয়েছে ৭৮১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। এক্ষেত্রে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৭৩৩.০৩ মিলিয়ন ডলার। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে এ বাণিজ্য ঘাটতিকে আমি খুব উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করি না। থাইল্যান্ড যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। একইভাবে উন্নত প্রযুক্তিসহ বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। দুই দেশই আমদানি-রফতানি বাড়াতে আগ্রহী। ডায়ালগ শেষে ব্রিফিংয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, দেশটিতে বর্তমানে বাংলাদেশের সাত হাজার পণ্য বিনা শুল্কে প্রবেশ করছে। সেখানে জুট, গার্মেন্টস, লেদার, ফার্মাসিটিকেল এবং অন্যান্য যে প্রধান পণ্য রয়েছে সেগুলো এই সুবিধা পায়নি। সেগুলোর ব্যাপারে আমরা তাদের অনুরোধ করেছি এবং তাদের বন্দর এবং আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টি করার অনুরোধ করেছি। তারাও এই দুই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করতে চায়।’ থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মুক্ত বাণিজ্যের লক্ষে দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ কমিটি গঠিত হবে। ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করতে এফবিসিসিআই এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।’ অনুষ্ঠানে থাই-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মিংপ্যান্ট ছায়া, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিমসহ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও এফবিসিসিআই নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ