পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে পাওয়ার প্ল্যান্ট, তৈরী পোশাক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুও। তিনি বিনিয়োগ বান্ধব চট্টগ্রামে চীনের বিবিধ খাতে বিনিয়োগে সিটি মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণসহ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দিনে যেকোন বিনিয়োগে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবার নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে মেয়রের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন চীনা রাষ্ট্রদূত। নিজের দপ্তরে চীনা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে তার হাতে কর্পোরেশনের ক্রেস্ট তুলে দেন মেয়র।
মেয়র দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সু-সম্পর্কের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার চীন। চায়না কুনমিং সিটির সাথে চট্টগ্রাম সিটির টু ইন সিটির সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে মেয়র বলেন, ইতোপূর্বে কুনমিং সিটির মেয়র চট্টগ্রামে সফর করেছিলেন। মেয়র তার দায়িত্ব গ্রহণ থেকে এসময় পর্যন্ত গৃহিত উন্নয়ন কর্মকাÐের নানাচিত্র ও তথ্য তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা হিসেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। চট্টগ্রামে গার্মেন্টসসহ নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা সমস্যা শান্তিপূর্ণ সমাধানের ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা, অবকাঠামো উন্নয়ন, চট্টগ্রামে গড়ে উঠা অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন মেয়র। তিনি চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চান।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চট্টগ্রামে এসে আমি অভিভূত। চট্টগ্রামকে বিনিয়োগ বান্ধব উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত এখানে তার দেশের ব্যবসায়ীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানান। বাংলাদেশ বিশেষ করে চট্টগ্রামের সাথে চীনের বহুকাল থেকে সম্পর্ক সুনিবিড়। তিনি চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে মেয়রের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সৌজন্য বৈঠকে উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানাদিক নিয়েও আলোচনা হয়। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামসুদ্দোহা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মিসেস নাজিয়া শিরিন, প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুদ্দিন, প্রধান পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, উপ সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রহিম, চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।