সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহার করতে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দাবি জানিয়েছে
বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে
নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে
বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
বৈঠকে মঈন খান ছাড়াও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকতুল্লাহ বুলু ও সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির
সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।
মঈন খান বলেন, তফসিল ঘোষণার পর গাজীপুর ও খুলনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও গত দুই দিনে আমরা নতুন নতুন পদক্ষেপ নিতে দেখছি। খুলনায় গতকাল নির্বাচনের দায়িত্বরত আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অনেককে ভয়-ভীতিও দেখানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য প্রচারণায় অংশ নেওয়ার জন্য খুলনায় গিয়েছেন। তারা যে হোটেলে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যত সেই হোটলটিকে ঘিরে রেখেছে। পুলিশ হোটেলটির ফ্লোরে ফ্লোরে অবস্থান নিয়েছে। আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর সকল ক্ষমতার ধারক-বাহক ইসি। কিন্তু, পুলিশ যদি সেখানে সমস্যার সৃষ্টি করে, শান্তি শৃঙ্খলার অজুহাতে ভয়-ভীতি দেখায়, নির্বাচনের প্রচারণায় বাধার সৃষ্টি করে, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক ভোট হতে পারে, সেটা আমার বোধগম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, খুলনায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার দায়-দায়িত্ব পুলিশ কমিশনারকে নিতে হবে। আমরা কমিশনের কাছে কেএমপির কমিশনারকে নির্বাচনের সময়ে প্রত্যাহারের দাবি করেছি।
গাজীপুরে
বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ করে মঈন খান বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। এজন্য আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে গাজীপুরের এসপির প্রত্যাহার চেয়েছি।
নির্বাচন কমিশন আপনাদের কোনো আশ্বাস দিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আশ্বাসের বিষয় নয়। তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা আশা করি, কমিশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে। কাজের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করবে।