পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সব নাগরিকের বাক স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত হলে শুধু মতপ্রকাশের ক্ষেত্রেই নয়, গণমাধ্যম কর্মীদের পাশাপাশি সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। তাই এ আইনের ঝুঁকিপূর্ণ ধারাগুলো বাতিলের আহŸান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল এক বিবৃতিতে দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ আহŸান জানান। সংস্থাটির পক্ষ থেকে সংসদে জিডিটাল নিরাপত্তা আইন পাশের আগে ৯টি ধারা সংশোধন করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়।
টিআইবি বিবৃতিতে দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে মুক্ত পরিবেশে স্বাধীনভাবে বাক্স্বাধীনতা ও মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার চর্চা অব্যাহত রাখতে পারে সে জন্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৮ ধারা পুনর্বিবেচনা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছে। খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অগ্রসর হওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটির প্রতি আহŸান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যৌক্তিক বিধিনিষেধ সাপেক্ষে সংবিধান দেশের নাগকিরদের মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার কাছে অসহায়। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীসহ মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই একদিকে অভূতপূর্ব ভীতি ও অন্যদিকে ভীতিপ্রসূত স্ব-আরোপিত সেন্সরশিপ চাপিয়ে দিয়েছে, যা বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীন দায়িত্ব পালনের প্রধান অন্তরায় বলে বিবেচিত হচ্ছে। আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৮ ধারাসমূহ প্রয়োজনীয় সংশোধন ছাড়া প্রণীত হলে সার্বিকভাবে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের সম্ভাবনা ধূলিসাৎ হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
খসড়াটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ সত্তে¡ও ধারাগুলো সংশোধন না করেই সংসদে উত্থাপিত হওয়াকে হতাশাজনক উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ আইনের ফলে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য প্রকাশ যেমন অসম্ভব হয়ে পড়বে; তেমনি এসব অপরাধের সুরক্ষার মাধ্যমে অধিকতর বিস্তৃতি ঘটাবে।
সরকার-ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিতের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনটি সে ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ অর্জনে সরকারের পাশাপাশি জনগণ, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমসহ সব নাগরিক যাতে সব ধরনের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন ও বাধাহীন মতামত প্রকাশ করতে পারে; তার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ পর্যায়ে খসড়া আইনটির সংশোধনের দায়ভার সংসদীয় কমিটির ওপর ন্যস্ত হওয়ার কারণে কমিটিকে অবশ্যই ইতিবাচক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।