বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আমিরুল কবীর চৌধুরীর ২য় জানাযা শেষে সেখানে দাফন করা হয়েছে। বাদ জোহর চাঁদগাঁও আবাসিক এলাকা মসজিদ প্রাঙ্গণে ২য় বার নামাজে জানাযা শেষে সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়।
তিনি ১ মে ২০১৮ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬.২৫ ঘটিকায় ঢাকাস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না…..রাজেউন)। তিনি দীর্ঘদিন যাবত লাংস ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
আমিরুল কবীর চৌধুরী কক্সবাজার জেলার ভূমি সন্তান হিসাবে দেশের উচ্চ আদালতে তিনি ছিলেন প্রথম বিচারপতি। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনে বিভিন্ন স্তরের বিচারিক ও সরকারি দায়িত্বে তিনি নিয়োজিত ছিলেন এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডেও প্রভূত ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি ১৯৪০ সালের ২৩ জুন কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মিঠাছড়ির নোনাছড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পিতা গোলাম কবির চৌধুরী ও মাতা গুলনুর বেগম-এর তৃতীয় এবং একমাত্র পুত্র সন্তান। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও গ্রাজুয়েশন করার পর চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে ১৯৬২ সালে এলএল.বি ডিগ্রী লাভ করেন। অতঃপর চট্টগ্রাম জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৯২ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আপীল বিভাগের আইনজীবী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭৯-১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম জজকোর্টের পিপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭-৮৮ তে চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় বার এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯-৯৬ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ছিলেন। ১৯৯৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অন্যতম বিচারক নিযুক্ত হন এবং ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। বিচারপতি হিসাবে অবসর গ্রহণের পর প্রথমে বাংলাদেশ লেবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি ২০০৭ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নব প্রতিষ্ঠিত ‘‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন’’ এর প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং পাঁচ বছর পর অবসরে যান।
এছাড়াও তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অতুলনীয় অবদান রাখেন। ১৯৫৩-৫৫ সালে কক্সবাজারস্থ খরুলিয়া পল্লী ধর্ম ভাণ্ডার সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রামস্থ কক্সবাজার সমিতির ১৯৬৪-৯০ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯১-৯৬ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪-৯০ পর্যন্ত চট্টগ্রাম সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৮০-৯০ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে এটি একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।