বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর শিশু তামিম হোসেন খুনের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। নিজ ফুফুর হাতে তিন বছরের এ শিশু খুন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তবে ঘটনাটি ছিল অনিচ্ছাকৃত।
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর এসপি মো. শহীদুল্লাহ তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নিহত তামিম গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা বাইপাস-উজানপাড়া গ্রামের রাসেল হোসেনের ছেলে।
গত ২৭ এপ্রিল সকালে বাড়ির সামনের একটি মাঁচানের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পেটের সঙ্গে পা-বাধা এবং পলিথিন, জাল ও ওড়না দিয়ে জড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায় তামিমের লাশ। নিহত তামিমের বাবা পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক।
গত ২৬ এপ্রিল সকাল থেকে নিখোঁজ হয় তামিম। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, কে বা কারা তাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ২৭ এপ্রিল ভোরে তাদের বাড়ির সামনে মাঁচানের নিচে ফেলে যায়। পরে ছোট ফুফু সোনিয়া খাতুন (১৪) প্রথমে তামিমের লাশ দেখতে পায়। এ সময় পরিবারকে ডাকা হয়। তবে পুলিশ বলছে, এ সোনিয়ার হাতেই অনিচ্ছাকৃতভাবে খুন হয় তামিম।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি জানান, ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে হাঁসুয়ায় সবজি কাট ছিল সোনিয়া। তখন হাঁসুয়ার নিচের অংশ থেকে কাঠের বাট খসে লোহার অংশ বেরিয়ে যায়। সেই বাট লাগানোর চেষ্টা করছিল সোনিয়া। তখন তামিম সেখানে ঢুকে পড়লে তার মাথায় লোহার সরু অংশের আঘাত লাগে। এতে তার মাথায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সঙ্গে সঙ্গে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশু তামিম। ওই সময় তামিমের মা ঘুমাচ্ছিলেন।
সোনিয়া বিষয়টি প্রথমে তার বড় বোন রাবেয়া খাতুন (২২) ও পরে মা নার্গিস বেগমকে (৪৭) জানায়। এভাবে শিশুটির মৃত্যু হওয়ায় তারা ভয় পেয়ে যান। পরে তারা সবাই মিলে লাশটি মাঁচানের নিচে নিয়ে রেখে দেন এবং ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিতের চেষ্টা করেন।
এসপি জানান, ঘটনার পর পরিবারের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় ঘটনা বেরিয়ে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।