পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার : ত্রলীগে যেন আর কোন অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোন সিন্ডিকেট দ্বারা ছাত্রলীগ চলবে না। ছাত্রলীগ চলবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও শেখ হাসিনার নির্দেশনায়। কারো পকেটের কমিটি দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা হবে না।
তিনি দাবি করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার অমানবিক নয়। বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসার চিঠি কেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে। গতকাল রবিবার টিএসসিতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক একে এম এনামুল হক শামীম। সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহা সড়কে নিয়ে গেছে বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগকে রাজনৈতিক আদর্শের মহাসড়কে ফিরে আসতে হবে। ছাত্রলীগকে রাজনৈতিক আদর্শের মহা সড়কে আসতে হবে। সুনামের ধারায় ফিরে আসতে হবে। ছাত্রলীগকে অতীতের ধারায় ফিরে আসতে হবে।
ছাত্রলীগ কোন সিন্ডিকেট দিয়ে চলবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি চাই ত্যাগী যোগ্য নেতৃত্ব। কারো পকেটের কমিটি দিয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব হবে না। কোন সিন্ডিকেট দ্বারা ছাত্রলীগ চলবে না। ছাত্রলীগ চলবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নির্দেশনায়। এর বাইরে কোন ভাবনা চিন্তা করার অবকাশ নেই।
ছাত্রলীগে যেন আর কোন অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমি নেতৃবৃন্দদের বলবো আপনা আপনাদের পূর্বসূরিদের কথা ভাবুন। নেতা বানিয়ে যাবেন কিন্তু আপনি যখন বিদায় নিবেন তখন নতুনরা আপনাকে কি চোখে দেখবে সেটা একবার ভেবে দেখুন। চিরদিন কারো ক্লাউড থাকে না। তিনি বলেন, চলে গেলে অনেক কিছুই অনেকে ভুলে যায়। টাকা পয়সার কর্মীরা থাকবে না, আদর্শের কর্মীরা থাকবে। জবরদস্তি করে অযোগ্যকে নেতা বানাবেন, দূ:সময় এলে হাজার পাওয়ারের বাতি দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাহসী মেধাবী চরিত্রবান নেতা বানান সর্বস্তরে। অনুপ্রবেশকারী পরগাছা যেন পার্টির নেতৃত্বে আর না আসতে পারে। পরগাছাদের জন্য ছাত্রলীগ কোন সুযোগ দিবে না। সোহাগ জাকিরকে বলবো তোমরা ভালো কিছু করে যাও। ভালো কিছু দিয়ে যাও।
বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিজেদের দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন আদালতের বদৌলতে। সেটা নিয়েও তারা রাজনীতি করছেন। যেন সরকার এই মামলা দিয়েছে, সরকারই খালেদা জিয়াকে দন্ড দিয়েছে এমন একটি ভাব। আমরা তাকে দন্ডও দেইনি, আমরা তাকে দন্ড থেকে মুক্তিও দিতে পারবো না।
তিনি বলেন, কারাগারে থাকলেও জেল কোর্ট আছে অসুস্থতার চিকিৎসা আছে। বেগম জিয়া অসুস্থ হলে জেল কোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার যথাযত ব্যবস্থা নিবে। এখানে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কাগজপত্র কেন যাবে?
বিএনপি মিথ্যার রাজনীতি করছে দাবি করে কাদের বলেন, তারা মিথ্যার উপর ভর করে রাজনীতি করে, সব জায়গায় মিথ্যাচার করে। জেল খানায় জেল কোর্ট আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় আছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় আছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাগজ পত্র কেন যাবে। এমন একটা ভাব যেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাগজ গেছে, তিনি সই করলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়ে যাবে। তিনি বলেন, তাতে কি বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে যাবেন? চিকিৎসকরা বলতে পারবেন তিনি কতটা অসুস্থ। চিকিৎসক তো জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক আছেন। জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকরা যখন চিকিৎসার সার্টিফিকেট দেবেন, সেখানে তো সন্দেহ থাকাটা স্বাভাবিক। এই চিকিৎসক চিকিৎসার প্রকৃত চিত্রটা না বলে রাজনৈতিকভাবে একটা রাজনৈতিক সার্টিফিকেট দিয়ে দিবে, এটা কি গ্রহন যোগ্য?
কাদের বলেন, সত্যিকারের যেই চিত্র, এই ব্যপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবে। এ ব্যপারে অবশ্যই সরকারে অমানবিক হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক সরকার নয়। তারা আমাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন তার পাল্টা পাল্টি ব্যবহার কিন্তু আমরা করিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দুতাবাসে কে চাকরি দিয়েছে? ২১ এ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টর্গেট করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে রক্তের বন্য বইয়ে দিয়েছে কে? এরপরও বেগম জিয়ার ছেলে মারা গেছে, যার বাবা বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে জড়িত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকার্ত সন্তান হারা মাকে দেখতে গিয়েছিলেন।
ইভিনিং কোর্স বন্ধ চায় ঢাবি ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান নৈশ বিভাগে কোন ছাত্র যাতে আর না ভর্তি হতে পারে সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। নিজের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেনের দিনে কর্তৃপক্ষ ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এ দাবি তুলে ধরেন প্রিন্স।
বিলুপ্ত ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আমাদের প্রানের ক্যাম্পাস। বাংলাদেশের সকল সফল আন্দোলন সংগ্রামের সুচনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা করেছে। আর আজকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনা অনেক বেড়ে গেছে। এই বহিরাগতদের আনাগোনা বিভিন্ন সময় বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং কোর্সের মাধ্যমে বহিরাগত বাড়ছে। আমি বলতে চাই অবিলম্বে এই ইভিনিং কোর্স বন্ধ করতে হবে, বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। সম্মেলন শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।