Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

লিঙ্গ বৈষম্যে পাত্রীর জন্য হাহাকার বৃহৎ দু’টি দেশে

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। সাংস্কৃতিক পরিমÐল, সরকারের ডিক্রি ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রযুক্তির সমন্বয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুটি দেশের চিত্র পাল্টে গেছে। সেখানে দেখা দিয়েছে লিঙ্গগত অসমতা। অর্থাৎ নারী ও পুরুষের সংখ্যায় মারাত্মক হেরফের হয়েছে। এ দুটি দেশ হলো চীন ও ভারত। এ দুটি দেশে নারীদের তুলনায় পুরুষের আনুপাতিক সংখ্যা ৭ কোটি বেশি। এত বেশি পুরুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে মারাত্মক এক সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। উঠতি যুবক বা বিয়ের বয়সী যুবক পাত্রী পাচ্ছেন না। এর ফলে তাদের অনেককে একাকীত্ব বরণ করতে হচ্ছে। পতিতাবৃত্তির হার ও স্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পরিণতি হিসেবে শুধু যে চীন বা ভারত ভুগছে তাই নয়। এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোতে। সিয়ান জিয়াওতোং ইউনিভার্সিটির জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লি শুঝুউ বলেন, অদূর ভবিষ্যতে লাখ লাখ পুরুষকে অবিবাহিত জীবন কাটাতে হবে। এতে সমাজের ওপর বড় রকম একটি ঝুঁকি তৈরি হবে। চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। এর মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা কমপক্ষে ৩ কোটি ৪০ লাখ বেশি। এ সংখ্যা পুরো ক্যালিফোর্নিয়া বা পোল্যান্ডের জনসংখ্যার সমান। এসব মানুষ অর্থাৎ ৩ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ কোনোদিন বিয়ে করার জন্য মেয়ে খুঁজে পাবে না। আর শারীরিক ক্ষুধা মেটানো তো দূরের কথা। এর ফলে তারা খুঁজতে থাকে নিষিদ্ধ পল্লী। সেখানে শারীরিক ক্ষুধা মিটাতে গিয়ে তারা এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আবার প্রতিবেশী কোনো দেশে গিয়ে সেখানে মনের মানুষ খুঁজে নিতে পারে। কিন্তু ঝুঁকি সব ক্ষেত্রেই আছে। চীনে দ্রæতগতিতে বর্ধনশীল জনসংখ্যার রেশ টেনে ধরতে ১৯৭৯ সালে সেখানে ওয়ান চাইল্ড পলিসি বা এক শিশু নীতি গ্রহণ করা হয়। তা ১৯৭৯ সালে কার্যকর হয়ে অব্যাহত থাকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এ সময়ে কোনো দম্পতিকে একের অধিক সন্তান নিতে অনুমোদন দেয়া হয় নি। ফলে কোনো দম্পতি সন্তানের পিতামাতা হওয়ার আগে গর্ভস্থ শিশু ছেলে নাকি মেয়ে তা জেনে নেয়ার চেষ্টা করে। যদি তারা দেখতে পান গর্ভস্থ শিশু একটি কন্যা শিশু তাহলে গর্ভপাত করা হয়েছে। এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। কারণ, মেয়ে শিশুকে সেখানে ভাল চোখে দেখা হয় না। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ