পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কারাগারে মেডিকেল বোর্ডের ডাক্তাররা দেশনেত্রীকে যেসব ঔষধপত্র দিয়েছেন সেগুলো কোনো কাজ করছে না। ওইগুলো তার রোগের বা যন্ত্রণা যে লাঘব করা- সেটা কাজ করছে না।
এছাড়া যে পরিবেশে তাকে রাখা হয়েছে এই পরিবেশে একজন সুস্থ লোকও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। আর অসুস্থ লোক তো সুস্থ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এজন্য তার (খালেদা জিয়া) পরিবেশটা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। গতকাল (শনিবার) বিকেলে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করে বেরিয়ে আসার পর তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা তাকে যা দেখেছিও তাতে আমরাও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছি। তার শরীর আসলে খুবই খারাপ। তিনি যে বর্ণনা দিয়েছেন তার বাম হাত আস্তে আস্তে শক্ত হয়ে যাচ্ছে। এটা স্টিফ হচ্ছে। ওজনও বেড়ে গেছে বাম হাতের। বাম পা থেকে শুরু করে গোটা বাম দিকে পেছনে পর্যন্ত সেই ব্যথা বেড়ে গেছে। সাধারণভাবে হাটা চলা করা তার জন্য মুশকিল হয়ে পড়েছে। আর্থাটাইটিসের যে সমস্যাটা, সেই সমস্যাটা হচ্ছে, সেটা আস্তে আস্তে নিউরো প্রবলেম্বের সৃষ্টি হয়। আমরা দুপুরে (গতকাল সংবাদ সম্মেলনে) বলেছি, ডাক্তার সাহেবরা বলেছেন যে, এটা স্টিভ হয়ে যায়। এতে প্যারালাইসিসের দিকে চলে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, তার ডান চোখটা লাল হয়ে আছে। এটা বেড়ে গেলে তার ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এখনো বলছি, সরকারের আর বিলম্ব না করে অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন যে ইউনাইটেড হাসপাতালে যেতে চেয়েছেন, সেই হাসপাতালে রেখে তাকে বিশেষভাবে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করুন। এটা সরকারের দায়িত্ব। এর কোন ব্যাত্যয় হলে বা তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক ক্ষতি সাধিত হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে। দেশবাসী যেন তার সুস্থতার জন্য দোয়া করেন এবং এই যে দুঃসময় চলছে জাতির জন্যে, দেশের জন্যে, এই দুঃসময়ের যেন অবসান ঘটে তার জন্যও দোয়া করতে বলেছেন। নেতা-কর্মীদের তিনি (খালেদা জিয়া) সাহসের সঙ্গে আন্দোলন করে যেতে বলেছেন গণতন্ত্রের মুক্তির জন্যে।
এর আগে বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান নাজিমউদ্দীন রোডের ওই পুরাতন কারাগারে প্রবেশ করেন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা ভেতরে অবস্থান করার পর বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি প্রতিনিধি দল বেরিয়ে আসেন। এসময় কারাগারের সামনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার ও প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। গত ১৯ এপ্রিল এই তিন নেতা সাক্ষাতের জন্য অনুমতি নিয়ে সাক্ষাতের জন্য কারাগারে যাওয়ার পর খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সর্বশেষ গত ৬ এপ্রিল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একা কারাগারে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেন। এর পরদিনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তাকে এক্সরে পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।