পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এম শামসুল ইসলাম তার নির্বাচনি এলাকা এবং দেশের জন্য অনেক অবদান রেখে গিয়েছেন। তার মৃত্যুতে বিএনপি ও বাংলাদেশ হারালো এক নেতাকে। তার শূন্যতা কোনও দিন পূরণ হওয়ার নয়। গতকাল (শুক্রবার) সকাল ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলামের জানাযা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে শামসুল ইসলামের লাশ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারা প্রথমে কফিনটি দলীয় পতাকায় ঢেকে দেন। পরে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও মরহুম এই নেতার কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির রাজনীতিতে শামসুল ইসলামের ভূমিকা এবং দলের প্রতি তার আনুগত্যের কথা তুলে ধরেন। শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের আগে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলামের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আমিনুল হক, আহমেদ আজম খান, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিনু, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, এহসানুল কবির, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, এম এ মালেক, আবদুস সালাম আজাদ, মাহফজুর রহমান ফরহাদসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী জানাজায় অংশ নেন। নয়াপল্টনে শামসুল ইসলামের জানাযার আগেই সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশানে আজাদ মসজিদে মরহুমের প্রথম জানাযার নামাজের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত জানাযায় অংশ নেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সাবেক স্পিকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আবদুল মান্নান, শহীদুল হক জামাল, নাজিমউদ্দিন আলমসহ এমপি ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। পরে ডেপুটি স্পিকার ফুল দিয়ে শামসুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গত বৃহস্পতিবার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শামসুল ইসলাম। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক এই সদস্য পঞ্চম থেকে অষ্টম সংসদে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ছিলেন। ১৯৯১-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ মেয়াদে খালেদা জিয়ার সরকারের তথ্য, খাদ্য, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
নয়াপল্টনে জানাজার পর দুপুরে এম শামসুল ইসলামের কফিন নিয়ে যাওয়া হয় মুন্সীগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার তিনসুড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।