পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের বুকে এ যেনো এক খন্ড ইন্দোনেশিয়া। দেশটির নানা প্রান্ত থেকে আসা সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে পারফিউম, জুতা, মেশিনারিজ, ব্যাগ অনেক কিছুই স্থান হয়েছে এখানে। রয়েছে কসমেটিক্স, কোকারিজ, বিউটি পার্লার সামগ্রীসহ বিভিন্ন ডিজাইনের বাহারি পোশাকের দোকান। আর ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল শুক্রবার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগমে জমে উঠে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার। গত বৃহষ্পতিবার শুরু হওয়া এই ফেয়ারে দেশটিতে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে পসরা সাজিয়েছে ৪৫টি স্টল। এ আয়োজন শেষ হবে আজ শনিবার। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে।
একই ছাদের নিচে বিদেশী এসব পণ্য প্রতি আগ্রহের কমতি নেই দর্শনার্থীদের। আর তাই জমজমাট হয়ে উঠেছে ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার। এ ধরনের মেলার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে জানান অংশগ্রহণকারীরা।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনো বলেন, বাংলাদেশের কাছে ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য। সেই সাথে আমরা চাই দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য আরও স¤প্রসারিত হোক। রাষ্ট্রদূত জানান, প্রদর্শনীতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে বিজনেস ফোরাম, যেখানে ইন্দোনেশনিয়ার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে তাদের অংশীদার (পার্টনার) খুঁজে নেবেন। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য কী করে দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও জোরদার করা যায়। আমরা চাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে। ‘ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা বর্তমানে ২৬ কোটির (২৬ কোটি ১১ লাখ) বেশি, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশও এত বড় একটি বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছে- এভাবে আমরা দুই দেশই লাভবান হতে পারি’ বলেন রাষ্ট্রদূত।
প্রদর্শনীর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতি দূর হবে বলে জানান ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এম এ খান বেলাল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে ইন্দোনেশিয়ার স্থান চতুর্থ। যেখানে বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি আয় প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার ( ১১ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা) সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৬৮ কোটি টাকা, এই বাণিজ্য ঘাটতি দূর করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।