Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সখিপুরে বর্গাচাষি জাল দলিলে জমির মালিক

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইলের সখিপুরে জাল দলিল সৃষ্টি করে বর্গাচাষি জমির মালিক হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাল দলিলের মাধ্যমে বর্গাচাষি আবুল হাশেম, আবুল কাশেম,মফিজ উদ্দিন সর্ব পিতা মৃত সায়ের উল্লাহ,খবির উদ্দিন,খলিলুর রহমান উভয় পিতা মৃত ফয়েজ উদ্দিন সর্ব সাং আড়াইপাড়া,সখিপুর,টাঙ্গাইল সহ ১৮জন কালিয়া মৌজার সিএস খতিয়ান নং ১২৪ এস এ দাগ নং ৬১২, ৬১৩, ৬২৮, ৬৩০, ৬৩৪, ৬৩৫, ৬৩৬, ২০৬৬, ২০৭২, ২০২১ দাগে ১০.৪২ একর জমির মধ্যে ৯.২৩ একর জমি আত্নসাত করেছে। জমিটি আড়াইপাড়া বাজারের দক্ষিন-পশ্চিম কর্ণারে আড়াইপাড়া-ভালুকা সড়কের দক্ষিন পার্শ্বে অবস্থিত। জানা গেছে,উক্ত জমির মালিক নাজির ভূইয়া দং সমশের ভূইয়া উভয় পিতা মৃত কবির ভূইয়া,আবির ভূইয়া,নকিম ভূইয়া উভয় পিতা মৃত আলম ভূইয়া সর্ব সাং কামান্না,কালিহাতী,টাঙ্গাইল গং দের নিকট থেকে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগন বর্গা নেয়। বর্গা নেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত ফসলাদি পেতে থাকে। হঠাৎ ফসলাদি না দিয়ে বর্গাচাষীরা ২০০০ সালে একটি দলিল দেখায় যে তারা সাব কওলা সূত্রে জমির মালিক। দলিলে দেখা যায় যে, ১৯/০৪/১৯২১ সালে ৫৪৯১ নং দলিল করা হয়েছে কালিহাতী সাব রেজিস্ট্রি অফিসে। পরবর্তীতে ১২/০৪/২০১৫ ইং সালে দলিলটি তালাশি দিলে জানতে পারি দলিলটি জাল এবং দলিলের লেখক ও স্বাক্ষীর কোন অস্তিত্ব নাই জানিয়ে কালিহাতী সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে লিখিত প্রতিবেদন দেয় বলে কাশেম ভূইয়া জানায়। ১৯৯০ সাল থেকে উক্ত জমির জোদ্দারের ছেলে কাশেম ভূইয়া তার ভগ্নিপতি আঃজলিল সহ অন্যান্যরা জমি তদারকি করতে গেলে জাল দলিলের মাধ্যমে জমি আত্নসাৎকারী বর্গাচাষিরা পেশীশক্তি দ্বারা তাদের বিভিন্ন ভাবে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছে। প্রাননাশের হুমকির কারনে জমির জোদ্দারগন ০২/০৫/২০১৩ইং সালে মো.দুলাল হোসেন পিতা আ.হালিম সাং কচুয়া,সখিপুর,টাঙ্গাইল কে একটি আমোক্তার দলিল করে দেয়। দলিল নং ১৮১২/১৩ জমির পরিমান ১.১০একর। সে মোতাবেক দুলাল জমির খাজনা দিয়ে আসছে এবং জমি তার দখলে আছে। বাকী জমি আবুল হাসেম গংদের জবর-দখলে থাকলেও জমির মূল জোদ্দারগন নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছে। আড়াইপাড়া এলাকার প্রবীন ব্যক্তি খোরশু মিয়া পিতা মৃত লালু মিয়া বলেন,আমার জানা মতে জমি আলতাফ ভূইয়া গং দের,এখন শুনতেছি জাল দলিলের মাধ্যমে বর্গাচাষিরা মালিক হয়ে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ