রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বাগমারা (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
রাজশাহীর বাগমারায় চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ দলীয় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাগমারার ১৬টি ইউনিয়নে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দু’টি ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ১৪টি ইউপিতেই দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীদের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। অনেকেই বলছে, বাগমারায় এবার দলীয় প্রতীক নয়, ব্যক্তি ইমেজ প্রাধান্য পাবে। কারো ওপর থেকে চাপিয়ে দেয়া প্রার্থীকে তারা মেনে নিবে না। গত সোমবার মনোনয়ন বঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, গনিপুর থেকে ইউপি আ.লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, নরদাশ ইউপি আ.লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, যুগিপাড়া ইউপি আ.লীগের সভাপতি কামাল হোসেন, গোয়ালকান্দি ইউপি আ.লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন এছাড়াও ঝিকড়া, গোয়ালকান্দি, মাড়িয়া, হামিরকুৎসা, শুভডাঙ্গা, আউচপাড়া, গোবিন্দপাড়া ইউপিতেও আ.লীগের স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আ.লীগের ত্যাগী নিবেদিত প্রাণ জনপ্রিয় নেতাদের বাদ দিয়ে রহস্যজনক কারণে অনেককেই দলীয় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেককেই এলাকাবাসী কোনদিনও জনগণের পাশে পায়নি, অথচ তারাই দলীয় প্রার্থী মনোনিত হয়েছেন। নরদাশ ইউপি আ.লীগের সভাপতি বর্তমান চেয়াম্যান আব্দুর রশিদ, গনিপুর ইউপি আ.লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, গোয়ালকান্দি আ.লীগ নেতা আলমগীর হোসেন, যুগিপাড়া ইউপি আ.লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, রাজনীতি আর রাজনৈতিক নেতাদের হাতে নেই। অরাজনৈতিক নেতাদের হাতে রাজনীতি চলে যাওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবির প্রতি কোন মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। নগদ দক্ষিণার মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন বিক্রি হচ্ছে বলে তারা দাবি করছেন। অপরদিকে বিএনপি দলগতভাবে তৃতীয় ধাপের ইউপি পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বর্তমান বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যানরাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানা গেছে। বর্তমানে আলোচিত সমালোচিত প্রার্থীদের নাম ভোটারদের মুখে মুখে। ভোটারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করছে। উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৭ এপ্রিল, যাচাই বাছাই ১০ ও ১১ এপ্রিল, প্রত্যাহার ১৮ এপ্রিল, ভোটগ্রহণ ৭ মে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।