Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএম কলেজ হোস্টেলে ছাত্রী মারধর বিছানাপত্রে আগুন

| প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:০৮ পিএম

ইনকিলাব ডেস্ক: বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসের এক ছাত্রীকে মারধর ও বিছানাপত্রে অগ্নিসংযোগ করে ছাত্রীনিবাস থেকে বের করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ ছাত্রীরা। গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় ছাত্রীরা বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ফারজানা আক্তার ঝুমুরের বিছানাপত্র এনে ছাত্রীনিবাস সংলগ্ন নতুন বাজার সড়কে অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে দুপুরে ছাত্রীনিবাস থেকে ঝুমুরের বহিষ্কারের দাবি করে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা। এ নিয়ে ছাত্রীনিবাসের উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঝুমুরকে নিয়ে ছাত্রীনিবাসে প্রবেশ করে। ছাত্রীদের উভয় গ্রæপ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। ঝুমুরের প্রতিপক্ষ গ্রæপের ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, ঝুমুর দীর্ঘদিন যাবৎ অন্যান্য ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে জড়িত হতে চাপ প্রয়োগ করতো।

তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে ছাত্রীদের মারধর করে। এছাড়া ঝুমুর সাধারণ ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ ছাত্রীনিবাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতো। ঝুমুরের প্রতিপক্ষ গ্রæপ আরো জানায়, তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১লা জানুয়ারি ২ নম্বর ভবনের ছাত্রী ঐশি ও ১৯শে মার্চ শারমিনকে মারধর করেছে। ২০শে নভেম্বর জান্নাত ও ইভা নামের দুই ছাত্রীকে মারধরের হুমকি দেয় সে। এসব
অভিযোগ জানিয়ে রোববার দুপুরে ঝুমুরের বহিষ্কারের দাবি করে কলেজ অধ্যক্ষ’র কাছে স্মারকলিপি দেন প্রতিপক্ষ গ্রæপের ছাত্রী শারমিন আক্তার, রহিমা আক্তার ইভা, ইসরাত জাহান, ফাতিমা, শাকিলা আক্তার ও মিষ্টি। কলেজ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়ে হোস্টেলে ঢুকে ফারজানা আক্তার ঝুমুরকে মারধর করে ও তার বিছানাপত্র পুড়িয়ে ফেলে প্রতিপক্ষরা। ফারজানার উপর হামলার খবরে বরিশাল কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহানাজ পারভীন ও ওসি আওলাদ হোসেন মামুনসহ শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী নিবাসে উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসে পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন। ঘটনার বিষয়ে ছাত্রীনিবাসের তত্ত¡াবধায়ক সহকারী অধ্যাপক এসএম শাহ আলম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রীনিবাসে দু’দল ছাত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে রবিবার বিকালে ঝুমুরকে মারধর ও তার বিছানাপত্রে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষরা। পরে প্রশাসন ও কলেজ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান করা হয়। ঘটনার বিষয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার সত্তরঞ্জন খাসকেল জানায়, বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী নিবাসে ছাত্রীদের মধ্যে ঝামেলার সংবাদে থানার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে কলেজ প্রশাসনকে সমাধান করবে এমন আশ^াসে ফিরে আসে পুলিশ কর্মকর্তারা। ঘটনার বিষয়ে আহত ফারজানা আক্তার ঝুমুর জানায়, ছাত্রীরা হোস্টেলে বসে মাদক পান করে, আমি তার প্রতিবাদ করতে গেলে জান্নাত, ইভা, সারমিন ও ফাতেমা আমার ওপর হামলা করে এবং আমার জামাকাপড় ও বিছানাপত্র রাস্তায় নিয়ে পুড়ে ফেলে। তিনি জানান, তার ওপর হামলা করে তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও একটি চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, কলেজ প্রশাসন তাকে ২ থেকে ৩ দিনের জন্য হোস্টেলের বাহিরে থাকার জন্য বলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ