পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719821470](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আমন্ত্রণে আজ (রবিবার) দিল্লি সফরে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বে ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল তিন দিনের এই সফরে প্রতিনিধি দল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন।
এছাড়াও এই প্রতিনিধি দল মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
সফরের যাওয়ার আগের দিন গতকাল শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ওবায়দুল কাদের। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ। বিজেপি এসে আমাদের জন্য ভোট চাইবে না, চাইতেও পারবে না। ইন্ডিয়ান ডেমোক্রেসির একটা বিউটি আছে। তারা অন্য দেশের অভ্যন্তরিণ রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে খুব দৌঁড়াদৌঁড়ি করে। অনেক দেশ ছোটাছুটি করে। কিন্তু ইন্ডিয়া এইগুলো করে না। আজ (২২ এপ্রিল রবিবার) সকালে ঢাকা ত্যাগ করে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে যাবে প্রতিনিধি দলটি। ওই দিন রাতে বাংলাদেশী দূতাবাসের আয়োজনে নৈশ্যভোজে অংশ নেবেন তারা। পরদিন ২৩ এপ্রিল সকালে ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পার্লামেন্ট অধিবেশন পরিদর্শন করবে প্রতিনিধি দলটি। পরে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা এমজে আকবরের দেয়া মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেবেন প্রতিনিধি দলের নেতারা। ওই দিন বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হবেন তারা। পরে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে নৈশ্যভোজে অংশে নেবেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সফরে প্রতিনিধি দল মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তিন দিনের এই সফর শেষে ২৪ এপ্রিল ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন তারা। সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি মূলত পার্টি টু পার্টি প্রোগ্রাম। এখানে তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া বাড়বে। স্বার্থ ছাড়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। তবে ইন্ডিয়া মোর দেন এ নেইভার।
এর আগেও ভারত যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সফরের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে অন্য কোনো কারণ খোঁজার কারণ নেই। তিনি বলেন, ভারত সফর নিয়ে কথা উঠছে কেন। কদিন আগেও তো ২০ সদস্যের বেশি প্রতিনিধিদল চীন সফরে গিয়েছিল। চীনকে তাহলে আপনারা ছোট করে দেখছেন?
কাদের বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত অনেক বড়। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তো সমাধান হবে না। আলাপ-আলোচনা করেই সমাধান করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ভিজিটটা যেহেতু খুব ছোট, তারপরও সবধরনের চেষ্টা থাকবে। কথা হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই তো তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের একটা প্রভাব আছে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে হীন উদ্দেশ্যে ‘হায়াত মওত আল্লাহর হাতে’ কাদেরের বলা বক্তব্যকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অশনি সংকেত হিসেবে আখ্যায়িত করার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঠিকইতো বলেছি। আমি এখনও বলছি। আমি এই ঘর থেকে অন্য ঘরে যেতে পারবো কি না এর নিশ্চয়তা নেই। বিএনপি মহাসচিবকে বাম রাজনীতি থেকে আসা ‘আল্লাহ খোদায় বিশ্বাস কম’ মানুষ হিসেবেও মন্তব্য করেন তিনি।
হীন উদ্দেশ্যে বিএনপি নেত্রী হায়াত মওত আল্লাহর হাতে বলা হয়েছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাব জানতে চাইলে কাদের বলেন, হা আমি বলেছি, এখনও বলি। উনি তো বাম রাজনীতি করে এসেছেন। আল্লাহ খোদার ভয় নেই। আমি এখন এই রুম থেকে অন্য রুমে যাবার পর জীবিত থাকবো কিনা সেটাই তো জানি না। আল্লাহ জানেন হায়াৎ মরনের বিষয়টা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবউল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।