পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন সংসদ বহাল রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি এটি তার সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত বলে মন্তব্য করে বলেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এটা বলা যায়। কিছু অসৎ লোক ছাড়া সবাই বলবে আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ নিরপেক্ষ।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এর পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে একটি লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজে জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকারসহ সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে- বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা। ফলে যথাযোগ্য বিচারকমন্ডলীর মাধ্যমে পরিচালিত একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা অপরিহার্য। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে- এটাই আইনের শাসনের মূলকথা। এতে আরো বলা হয়, ৯০ সালে তিন জোটে রূপরেখা ও ২০০৫ সালে ১৪ দলের ২৩ দফা কর্মসূচি ভিত্তিক গণ-আন্দোলনের বিজয়ের পর লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যর ঘাটতি ও দুর্বলতার কারণে জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি। এ কারণে লক্ষ্য ও কর্মসূচিভিত্তিক আন্দোলনের বিজয়ের পর, কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের চেতনাকে আরো সুদৃঢ় করতে হবে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে মানুষ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশে ঘুষ দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। উপরের দিক থেকে নিচে সর্বত্র ঘুষ-দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। জনগণ অতীষ্ঠ। সাধারণ মানুষ সুশাসন চায়। তিনি বলেন, তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তারা আশা করেছিল ২০১৪’র অনুষ্ঠিত তথাকথিত একটি নির্বাচনে পর খুব শিগগির আরো একটি নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্মম পরিহাস সে নির্বাচন এখনো অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, জনগণের দাবি আদায়ে ঐকবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল হোসেন বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া সবার সাথে ঐক্য হবে। ঐক্য হবে নীতির ওপর ভিত্তি করে। এবং সে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে মাধ্যম জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, এখন রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র নেই। তাই দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র আনতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্রের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জনগণের ক্ষমতা থ্কাতে হবে। তিনি বলেন, মানুষ এখন তার ক্ষমতার মালিক হতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে এ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির নেতা আওম শফিক উল্রাহ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্টির নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মোহসীন মোস্তফা মহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জানে আলম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।