পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনগণের মাঝে থেকে এভাবেই উন্নয়নমূলক কাজ করে যেতে চাই- গোলাম দস্তগীর গাজী
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের অধিনে চলছে ব্যাপক উন্নয়ন। ফলে পাল্টে যাচ্ছে পুরো রূপগঞ্জ উপজেলার রূপ। রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষের দিকে। কয়েকটি মেগাপ্রকল্পের কাজ চলতি বছরের শেষের দিকে সম্পন্ন হওয়ার কথা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় আওয়ামীলীগ সরকারের গত ৯ বছরে উন্নয়ন কর্মকান্ডে রূপগঞ্জ উপজেলার চিত্র এক অনন্য রূপ ধারন করেছে। স্থানীয়রা মনে করেন, উন্নয়নের ছোঁয়ায় রূপগঞ্জের রূপ এখন ঝলমল করছে। বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মধ্যে নির্মাণাধীন ভুলতা ফ্লাইওভার ও শীতলক্ষ্যা সেতুর কাজ প্রায় শেষ। চলতি বছরই এগুলো উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এগুলো উদ্বোধন হলে রূপগঞ্জ উপজেলার চিত্র পুরোপুরি বদলে যাবে।
বর্তমান সরকারের আমলে উপজেলায় ৩২’শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এর মধ্যে ১৮’শ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলাকে এক অনন্য রূপ এনে দিয়েছে। সড়ক, কালভার্ট, ব্রীজ সংস্কার ও নির্মাণে দিন দিন নতুন সাজে সাজছে রূপগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক প্রতিনিয়তই এলাকার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন খাত থেকে বরাদ্দ প্রাপ্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছুটে চলছেন। তার কর্মতৎপরতায় বর্তমান সরকারের উন্নয়নে রূপগঞ্জ এগিয়ে চলছে বলে সাধারন মানুষের দাবি।
বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা-সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের যানজট নিরসনে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মানের জন্য গোলাম দস্তগীর গাজী উদ্যোগ নেন। তিনি ভুলতা এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মানের দাবী জাতীয় সংসদে তুলে ধরে একাধিকবার বক্তব্য রাখেন। পরে ‘ভুলতা ৪ লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার’ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার। সরকারি অর্থায়নে ২৪০ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২০৮ মিটার দৈর্ঘের এই ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। এই ফ্লাইওভারটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা গাউছিয়া এবং গোলাকান্দাইল এলাকায় কোনো যানজট থাকবে না বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা মনে করছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আলীউল হোসেন বলেন, ফ্লাইওভারের পিলার, গার্ডার, গ্যাংরোড, ড্রেনেজ, পাইলিং, পার্কওয়ের কাজ প্রায় শেষ । ১ দশমিক ২৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এই উড়াল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ২৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বাইপাস ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোলাকান্দাইল অংশে ব্যয় হবে ১১২ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কাজে ব্যয় হবে ৭ কোটি টাকা। প্রকল্প পরিচালক রিয়াজ হোসেন বলেন, উড়াল সেতুর ৬৫ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে, প্রায় এক’শ কোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর রূপগঞ্জের মুড়াপাড়ায় সেতু নির্মাণের কাজ ৮৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে শীতলক্ষ্যার দুই পাড়ের মানুষের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। সেতু নির্মাণে দীর্ঘ দিনের অবহেলিত এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প-কারখানার মালামাল পরিবহনে সময় ও ব্যয় কমে আসবে। তাতে কারখানার শ্রমিক, কর্মচারী, মালিক ও এলাকাবাসী লাভবান হবে। এছাড়া, ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়ক ও রূপসী-মুড়াপাড়া-কাঞ্চন সড়ক প্রশস্ত করায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে রূপগঞ্জে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। এ ছাড়া ডেমরা-নগরপাড়া-কামশাইর গাজী বাইপাস সড়কে ওই অঞ্চলের ১৭ গ্রামের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন শুরু হয়েছে। তারাবো পৌরসভায় সড়ক ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ২৮ কোটি ৩২ লক্ষাধিক টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মুড়াপাড়া বাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মান, রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ, মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মুড়াপাড়া পাইলট হাই স্কুল সরকারিকরন, গাজী অডিটোরিয়াম নির্মান, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মান এবং উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে গ্রামীণ অবকাঠামোর নজির বিহীন উন্নয়নে দেশের দৃষ্টান্ত এখন রূপগঞ্জ উপজেলা। রূপগঞ্জে বরাদ্দকৃত টিআর এবং কাবিখা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উপজেলায় সোলার প্যানেল স্থাপন এবং স্থাপনা ও রাস্তাঘাটের সংস্কারসহ উন্নয়ন কাজে বরাদ্দকৃত সকল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) প্রকল্প গুলো সমন্বয় ও বাস্তবায়ন করেন।
রূপসী-মুড়াপাড়া-কাঞ্চন সড়কটি এশিয়ান ডেভেলপম্যান্ট সোসাইটির অর্থায়নে ৪ লেনে উন্নীত করার জন্য ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ২শ’ ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ এসেছে। আবার শীতলক্ষ্যার পশ্চিমপাড় এলাকার ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের পূর্বাচল উপশহর ৪নং সেক্টর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার সড়কের উভয়পাশে ৩ফুট করে প্রশস্ত করার কাজ চলছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা বলেন, উন্নয়নের ও অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে আওয়ামীলীগকে আরও একবার নির্বাচিত করতে হবে। রূপগঞ্জের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ সরকারের আমলে প্রায় ৩২’শ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। রূপগঞ্জ উপজেলা পপ্রকৌশলী এহসানুল হক বলেন, উপজেলার এমন কোন এলাকা নেই- যেখানে সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার কথায় নয় উন্নয়নমূলক কাজে বিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজর থাকার ফলে পিছিয়ে পড়া এই রূপগঞ্জ উপজেলা আজ উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমান সরকারের আমলে রূপগঞ্জের দু’টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে দীর্ঘদিনের অবহেলিত রূপগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ৩২’শ কোটি টাকার সড়ক ও সেতু নির্মাণে রূপগঞ্জের চিত্র এখন বদলে যাচ্ছে। এ ভাবে গনগণের মাঝে থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করে যেতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।