পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, নিজের ইচ্ছমত তথাকথিত নির্বাচন চলবে না। সবদলের অংশগ্রহন মূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে সুষ্ঠ ও সুন্দর নির্বাচন করতে হবে; অন্যথায় অন্য কিছু..। তারা আরো বলেন, সংসদীয় নিয়ম হলো নির্বাচন হতে হলে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। এক দল নির্বাচনে জন্য ভোট চাইবে অন্যান্য সভা সমাবেশ করতে পারবে না এটা গণতন্ত্র নয়। এমন সৈরাচারীদের পতন অনিবার্য।গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাঠ্যমঞ্চে ‘সংবিধান বিধৃত আকাঙ্খা, বিদ্যমান পরিস্থিতি ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
তেল- গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক ইঞ্জি. শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যের আহবায়ক সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দীকী, মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, খালেকুজ্জামান, সুব্রত চৌধুরী, সুলতান মনসুর আহমেদ, এস এম আকরাম প্রমুখ।
জাতীয় ঐক্যের আহবায়ক ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, নিজের জন্য জায়গা করতে তথাকথিত নির্বাচন চলবে না। যেখানে ১৫৩ জন অনির্বাচিত এমপি। সরকার ও বিরোধী জোট একই জায়গা। এটা পৃথিবীর ১৯৩ রাষ্ট্রের মধ্যে কোথায় দেখাতে পারবেন না। এটা অসম্ভবকে সম্ভব। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি এইসব শয়তানী নীতি । এমনবস্থা আমাদের দেশে। এই অবস্থা আমাদের জনগণের ঐক্যে দরকার। তিনি আরো বলেন, অতীতেও প্রত্যেক সৈরাচারের পতন হয়েছে। পাক সৈরাচারদের পতন হয়েছে। এইভাবে সকল সৈরাচারীদের আগামীতেও হবে। আমাদের সংবিধানে বলা আছে সকল ক্ষমতার মালিক জনগন। যতি ক্ষমতাসীনরা এটা উপলব্ধি করেন তাহলে ১ মিনিটের মধ্যে ক্ষমতা থাকবেন না। তিনি আরো বলেন, আজকে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করা দেয়া হয়েছে। আপনার দেশটাকে দেউলিয়া করে ফেলছেন। এই্ অধিকার কে দিয়েছে আপনাদেরকে। আপনারা সময় থাকতে চলে যান। আপনারা যে চুরি লুটপাত করছেন এটা আর জনগণ দেখতে চায় না। ড. কামাল হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে আমাকে বলা হল এটা সাংবিধান রক্ষায় নির্বাচন। কিছুদিন পর আবার নির্বাচন দেয়া হবে। এরপর আজ সাড়ে ৪বছর। ডিসেম্বর নির্বাচন হবে কিনা এটা নিয়ে সংশয়। এটা কি বিশ্বাস ঘাতকা না। ভাউতাবাজি।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী বলেন, দেশে এখন দুর্ভিক্ষ চলছে। দেশ প্রেমের দারুণ অভাব। যেখানে নেই সুশাসন, যেখানে গনতন্ত্র ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের সংসদে ১৫৩ জন এমপি অনির্বাচিত। এরপরও আমরা কোন প্রতিবাদ করতে পারি না। তিনি আরো বলেন, দেশের লুটপাত চলছে। হাজার হাজার কোটি টাকার বিদেশে পাচার করছেন ক্ষমতাসীনরা। এছাড়াও চলছে নিরব সন্ত্রাস। কোটা আন্দোলন একটি যৌক্তিক আন্দোলণ অথচ আন্দোলনকারীদের চোখ বেধে নিয়ে গেল সরকারের বাহেনী। যেটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীরা করছে। এটা কি পাক পেয়ারা না। সাবেক এই প্রসিডেন্ট আরো বলেন, দুর্নীতিতে ভরে গেছে প্রতিটি মন্ত্রনালয়। আপনারা এমন কোন মন্ত্রনালয় পাবেন না যেখানে ঘুষ ছাড়া সেবা পাওয়া যায়। অথচ আমাদের মন্ত্রীরা এটাকে বলছেন স্পিরিট মানি।
সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেস্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, সুষ্ঠ ও সুন্দর নির্বাচন করতে হবে; অন্যথায় অন্য কিছু..। তারা আরো বলেন, সংসদীয় নিয়ম হলো নির্বাচন হতে হলে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে নিয়ে প্রধান মন্ত্রী নৌকার ভোট চেয়ে কথা বলছেন। এটা নাকি তার রাজনৈতিক অধিকার। তখন আমাদের জনগনের অধিকার হয় কোথায়। আমাদের অধিকার যারা হরণ করেছেণ তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার বলেন তিনি। এই আইনজীবী আরো বলেন, ১৯৭১ সালের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম হয়েছিল। আজ কি পেলাম। ছাত্রদেরকে গভীর রাতে ঞল থেকে বের করে দেয়া হল কেন এটা। বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি কি কোন দলের অনুগত? এইভাবে চলতে পারে না। আমরা কোন ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়। সরকারি যারা চাকুরীর করেন আপনার দেশের হয়ে কাজ করার আহবান জানান সাবেক এই আইন উপদেস্টা।
বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি কোর্টের আদেশে চট্রগ্রামে বন্দর আজ অর্থনীতির দ্বার হয়েছে। কিন্তু আজ সেই সব প্রতিষ্ঠান তথা হাইকোর্ট , সুপ্রিম কোর্টকে রক্ষা করবে এটা নিয়ে আমি চিন্তিত। এখন কেউ কথা বলতে পারেন না। সব যেন সরকারের দাসে পরিণত হয়ে গেছে এমনি সাংবাদিকরাও। তিনি আরো বলেন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী জেলে দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। অথচ কোন অর্থ তছরুপ হয়নি। আমি তো মনে করি এই্ দায়ের বিচারকের সাজা হবে। কারণ এই অভিযোগে তাকে আসামী করা ঠিক হয়নি সাজা তো পরের কথা। তিনি বলেন, একজন মন্ত্রী কোটা আন্দোলনকারীদের রাজাকার বললেন। আমি মনে করি এটা যৌক্তিক আন্দোলণ। এটাকে রাজাকার বলে আমাদের সবাইকে রাজাকার বলেছেন তিনি। এসময় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।