রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে প্রায় তিন সপ্তাহ বাকি থাকলেও বৈশাখের শুরুতেই কুমিল্লার ফল দোকানগুলোতে চেয়ে গেছে ভারতীয় আম। আমদানীকৃত ভারতীয় ‘বৈশাখী’ আম কেবল ফল দোকানেই নয়, পথে-ঘাটেও মিলছে। তবে স্বাদ দেশি আমের ধারে কাছেও নেই। বিশিষ্টজনরা বলছেন, শখের বসেও স্বাদহীন ভারতীয় আম কেনা মানেই অর্থ অপচয়। অন্যদিকে কুমিল্লার সবজি বাজারে মিলছে দেশিয় কাঁচা আম। কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, শাসনগাছা, টমছমব্রিজ, চকবাজার এলাকার ফল দোকান ও ফুটপাতের ফল বিক্রেতারা মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসার আগেই ভারতীয় বৈশাখী আম বিক্রিতে গা ঝাড়া হয়ে উঠেছেন ভারতীয় আমের বাইরের অংশ সুন্দর দেখালেও স্বাদের দিক থেকে এদেশের আমের ধারে-কাছেও নেই। তারপরও বৈশাখ বলে কথা! তরমুজ-বাঙ্গির পাশাপাশি শখের বশে বৈশাখী ফল হিসেবে ভারতীয় আম কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। চট্টগ্রামের কদমতলী, ফেনির মহিপাল ও ঢাকার বাদামতলীর আড়ত থেকে কুমিল্লার ফল বিক্রেতারা আমদানীকৃত ভারতীয় আম কিনে এনে থাকেন। কুমিল্লার বাজারে ভারতীয় আমের কেজি ২৮০ টাকা থেকে ২৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কুমিল্লার সবজি বাজারগুলোতে ব্যাপকহারে স্থান পেয়েছে দেশিয় কাঁচা আম। তরকারি রান্না বা ভর্তা তৈরিতে গৃহিণীদের পছন্দ এখন দেশিয় কাঁচা আম। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গৃহস্থরা বাজারের আড়তে এনে কাঁচা আম বিক্রি করছেন। আবার উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকেও কুমিল্লার সবজি বিক্রির সবচেয়ে বড় মোকাম নিমসারের আড়তগুলোতে প্রতিদিন আসছে দেশিয় কাঁচা আম। আড়ত থেকে প্রতিকেজি কাঁচা আম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে কিনে খুচরা সবজি বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। কুমিল্লা নগরীর ফল বিক্রেতারা জানান, আমদানিকৃত ভারতীয় আমের চাহিদা বৈশাখ মাস পুরোটাই থাকে। এরিমধ্যেই বৈশাখের শেষের দিকে বাজারে আসতে শুরু করবে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার দেশিয় আম। জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই বাজারে উঠবে রাজশাহী ও রংপুরের আম। নগরীর বিশিষ্টজনরা বলেন, বর্তমানে আমদানিকৃত ভারতীয় যে আম বাজারে মিলছে তা দেখতে যতোটাই দৃষ্টিনন্দন হোক না কেন, স্বাদ কিন্তু দেশি আমের মতো নয়। আর মাত্র দুই-আড়াই সপ্তাহ অপেক্ষা করলেই হাতের নাগালেই মিলবে দেশিয় পাকা আম। তাই এ মুহূর্তে অযথা ভারতীয় স্বাদহীন আমের পেছনে অর্থ নষ্ট না করাটাই উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।