পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশ এখন কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধির ধারা থেকে বেরিয়ে আয়হীন কর্মসংস্থানের দিকে এগুচ্ছে। এছাড়া, ব্যাংক খাতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। এ খাত বর্তমানে এতিম অবস্থায় রয়েছে। এজন্য ব্যাংকের রক্ষকরাই ভক্ষক হিসেবে কাজ করছে। ফলে আমাদের অর্থনীতি এখন একটা ভ্রমের মধ্যে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়াবে ৫০ হাজার কোটি টাকা।' আজ মঙ্গলবার সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ উপলক্ষে সিপিডির সুপারিশমালা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জিডিপির বিষয়ে সরকারের যে হিসাব, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও সামঞ্জস্যতা নেই। জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারের সঙ্গে আয় বৃদ্ধির হার এবং কর্মসংস্থানের হারের যে সামঞ্জস্যতা থাকার কথা, সেটি নেই। বর্তমানে মানুষের আয়হীন কর্মসংস্থান হচ্ছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হোক, ৭ শতাংশ হোক, ৮ শতাংশ হোক তাতে কিছুই যায় আসে না। ফলাফল কী সেটাই মূল কথা। কর্মসংস্থান বেড়েছে, কিন্তু প্রকৃত আয় কমেছে আড়াই শতাংশের মতো। এই কর্মসংস্থানের মধ্যে আবার পুরুষদের চেয়ে নারীদের আয় কমেছে। শহরের চেয়ে গ্রামীণ আয় কমেছে। আগে বলা হতো, পড়াশোনা করে যে, চাকরি-বাকরি পায় সে। কিন্তু বর্তমানে পড়াশোনা করেও অনেকেই চাকরি পাচ্ছে না।’
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আগে আমরা উচ্চতর প্রবৃদ্ধির তাগাদা দিতাম। কিন্তু এখন বিষয়টি সেরকম না। এখন দরকার শোভন কর্মসংস্থান। যাদের কর্মসংস্থান হয়েছে তাদের আয় কম। আবার শ্রমের পরিবেশও নাই।’
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতে কয়েক বছর ধরে বিনিয়োগ স্থবির রয়েছে। অথচ বেসরকারি খাতে সাড়ে ১৮ শতাংশ ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এত টাকা গেলো কোথায়? অথচ আমদানি বাড়ছে। এই টাকা পাচার হয়েছে কিনা তা নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।