হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
॥ মোবায়েদুর রহমান ॥
কিছু কিছু কথা আছে যেগুলো নির্জলা সত্য। কিন্তু সেই সত্য কথার গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে কথাটি কে বলছেন তার ওপর। যেমন- শেখ মুজিব, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ে সেক্যুলার ও বাম শিবির থেকে বললে সমাজের একাংশ যেভাবে গ্রহণ করবে, একই কথা ইসলামী ও দক্ষিণপন্থি শিবির থেকে বললে সেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আবার ইসলাম ও ভারতীয় আধিপত্য সম্পর্কে দক্ষিণপন্থি ও ইসলামী ঘরানা থেকে বললে যতখানি মানানসই হবে, আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্টরা বললে ততখানি মানানসই হবে না। সে জন্য এমন কতগুলো কথা আছে, যেগুলো দক্ষিণপন্থিদের চেয়ে বলিষ্ঠভাবে আর কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু তারপরেও অনেক সময় কৌশলগতভাবে চুপ করে থাকতে হয় এবং উপযুক্ত সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আবার এমন কতগুলো কথা আছে, যেগুলো আওয়ামী লীগ ও বামপন্থিরা ছাড়া বলিষ্ঠভাবে আর কেউ বলতে পারে না।
এ ধরনের কিছু কথা দৈনিক ‘নিউ এজের’ সম্পাদক নুরুল কবীর টেলিভিশনের টকশোতে বলেছেন। তিনি যেসব কথা বলেছেন সেগুলো চরম সত্য কথা। সেজন্য সেই কথাগুলোর অংশবিশেষ সর্বাগ্রে নিচে তুলে দিলাম। সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবীর শুরুতেই বলেন, আমি কোনো নির্বাচন দেখিনি। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সুলতানা রহমানের উপস্থাপনায় ‘বাংলাদেশ এখন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ডেইলি নিউ এজ সম্পদক নুরুল কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন অন্তর্ধান করেছে ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে, যেদিন নির্বাচন ছাড়াই অনেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়েছিল। যে নির্বাচন বাংলাদেশে ’৭০ সালে হয়েছিল, সেখানেও এদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছিল। আর স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছিল বলেই বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদকে সামনে নিয়ে তার পছন্দের প্রতিনিধিকে নিরঙ্কুশভাবে নির্বাচিত করতে পেরেছিল। এ ব্যাপারটা তখনকার পশ্চিম পাকিস্তান মেনে নেয়নি বলেই বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে।’
‘বাংলাদেশের মানুষ নির্ভয়ে নির্বিবাদে তার পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। আর যখনই বাংলাদেশের মানুষ তার পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা পরিবেশ পায়নি তখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের যেটা অন্যতম প্রধান স্তম্ভ বা অঙ্গীকার ছিল সেটা ধুলোর সাথে মিশে গেছে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস টেনে নুরুল কবীর আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তানের ইয়াহিয়া খানরা স্বাধীনতা যুদ্ধ বানচাল করার জন্য একটা উপনির্বাচন দিয়েছিল, সেই নির্বাচনেও পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫০ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করেছিল। অপরদিকে স্বাধীন বাংলাদেশেও ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে ১৫৩ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিল কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই। এ ছাড়া নির্বাচন শুরুর আগে বহু অভিযোগ নির্বাচন কমিশনারের কাছে গেলেও তিনি এসব অভিযোগ আমলে নেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল স্লোগান দেয় যে উন্নয়ন আগে, গণতন্ত্র পরে, সেদিনই মূলত বাংলাদেশের আত্মাকে হত্যা করা হয়। এই ভাষা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলের নয়, বরং এই ভাষা ছিল আইয়ুব খানের।’
॥ দুই ॥
উপরে উদ্ধৃত নুরুল কবীর সাহেবের সব মন্তব্যের সাথে আমার ১০০ ভাগ সহমত রয়েছে। তিনি শুরু করেছেন ১৯৭০ সাল থেকে। আমি আরো পেছনে চলে যাব। ১৯৫৪ সাল। পাকিস্তানের অন্যতম প্রদেশ পূর্ব বাংলার (১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র পাস হওয়ার পর পূর্ববঙ্গের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান) প্রাদেশিক নির্বাচন। তখন পর্যন্ত দেশ হিসেবে সারা পাকিস্তানে একটিও নির্বাচন হয়নি। দেশে তখন পর্যন্ত কোনো শাসনতন্ত্র বা সংবিধান পাস হয়নি। দেশ চলছিল ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আইন অনুযায়ী। এই অবস্থাতেই পূর্ববাংলায় প্রাদেশিক নির্বাচন দেওয়া হয়। তখন পূর্ববাংলায় ক্ষমতায় ছিল মুসলিম লীগ। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমীন। ১৯৫২ সালের রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলন এবং শহীদ দিবসের পর মুসলিম লীগ সরকার দারুণভাবে আন পপুলার হয়ে যায়। নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি সম্পর্কে কারো মনে সন্দেহের কোনো অবকাশ ছিল না। মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জোট গঠন করেন ৪ জন জাতীয় নেতা। তারা হলেনÑ অবিভক্ত বাংলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, কৃষক প্রজা পার্টির প্রধান এবং অবিভক্ত বাংলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এবং নেজামে ইসলাম পার্টির প্রধান মাওলানা আতাহার আলী। এই নির্বাচনী জোটের নাম হয় ‘যুক্তফ্রন্ট’।
তখন আমি কিশোর ছিলাম। তারপরেও মহাআনন্দে এ কেন্দ্র থেকে সে কেন্দ্রে ছুটে গেছি। প্রার্থীরা বা তাদের এজেন্টরা ধরে ধরে খাইয়েছে চা এবং লাঠি বিস্কুট। মহাআনন্দে কিছুই না বুঝে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে স্লোগান দিয়েছি। আমার মরহুম আব্বা সরকারি চাকরি করতেন। তাই তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় প্রকাশ্যে আসতে পারেননি। কিন্তু আমার মামা একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বিকাল বেলা অফিস থেকে এসে মামা রিকশায় একটি মাইক নিয়ে সারা গ্রাম চষে বেড়াতেন। সেই মাইকে যুক্তফ্রন্টকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাতেন। বগুড়ায় তখন সদর কেন্দ্র থেকে মুসলিম লীগের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন সেই সময়কার বগুড়ার অন্যতম ধনাঢ্য ব্যক্তি মুজিবুর রহমান ভা-ারীর মেয়ের জামাই সারওয়ার। মুসলিম লীগের ভরাডুবি হবে, সবাই জানতেন। হয়েছিলও তাই। কিন্তু সারওয়ারের জনসভায় কেউ গ-গোল করেনি, তার পোস্টার কেউ ছিঁড়েনি, তার নির্বাচনী মিছিলে কেউ হামলা করেনি। আমার আম্মার সাইডের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মুসলিম লীগের চোঙ্গা ফুঁকত। তাকে সবাই বন্ধু হিসেবে টিটকারী মারত। কিন্তু কেন সে মুসলিম লীগ করে সেই জন্য কেউ তাকে চোখ রাঙ্গায়নি। যুক্তফ্রন্টের ক্যান্ডিডেট জয়লাভ করলে যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল সেই মিষ্টান্ন ভোজনে আমাদের সেই মুসলিম লীগের আত্মীয়ও শরিক হয়েছিল। ১৯৫৪ সালের এই নির্বাচন নুরুল আমীনের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ সরকারের অধীনেই হয়েছিল। তারপরেও সেই নির্বাচন ছিল সম্পূর্ণ অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সব রকম সরকারি চাপ মুক্ত। তাই তো দেখা যায় যে, ওই নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে ২২৮টি আসনই পায় যুক্তফ্রন্ট। এমনই অবাধ ও নিরপেক্ষ ছিল সেই নির্বাচন, যদিও সেটি দলীয় সরকার অর্থাৎ মুসলিম লীগ সরকারের অধীনে হয়েছিল।
নিউ এজের এডিটর ১৯৭০ সালের নির্বাচনের কথা বলেছেন। তাকে ধন্যবাদ দেই। এই জন্য দেই যে, তিনি ভালোকে ভালো বলেছেন। আজকাল এ বিষয়টি উঠেই গেছে। দক্ষিণপন্থিরা যদি পাকিস্তানসহ মুসলিম জাহানের ভালো জিনিসটাকে ভালো বলেন তাহলে সাথে সাথে আওয়ামী এবং কমিউনিস্ট ঘরানা তাদেরকে হয় পাকিস্তানের দালাল বলবেন, না হয় মৌলবাদীর তকমা এঁটে দেবেন। সেই জন্য আজকাল অনেক ভালো মানুষও আর ভালো কথা বলতে চান না। কারণ ভালো কথা এবং সত্য কথা বললে হয় এ ঘরানা না হয় ওই ঘরানার দালাল হিসেবে নাম উঠে যায়। যারা ১৯৭০ সালের নির্বাচন দেখেছেন এবং সেই নির্বাচনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছেন তারা সেদিন বলেছিলেন, ৭০ সালের নির্বাচনটি ছিল পাকিস্তানের তৎকালের সবগুলো প্রদেশ এবং ভারতেরও অনেকগুলো নির্বাচনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
ওই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় একটি Leagal frame work order এর অধীনে। LFO এর বাংলা হলো, আইনগত কাঠামো। এখানে একটি কথা বলা দরকার। LFO এর আগে পাকিস্তানকে দুটি প্রদেশে ভাগ করা হয়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের ৪টি প্রদেশকে একীভূত করে একটি প্রদেশ করা হয়েছিল। নতুন প্রদেশের নাম ছিল পশ্চিম পাকিস্তান। এটিকে বলা হতো এক ইউনিট। এর আগে পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল ৪টি প্রদেশ। প্রদেশগুলোর নাম ছিল- পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তান এবং উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে আসন সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় ৩০০। এই আসনে সংখ্যা সাম্য নীতি বা Parity প্রবর্তন করা হয়। সেই মোতাবেক পশ্চিম পাকিস্তানের থাকবে ১৫০টি আসন এবং পূর্ব পাকিস্তানের থাকবে ১৫০টি আসন।
জেনারেল ইয়াহিয়া খান সামরিক শাসক হওয়া সত্ত্বেও LFO এর মাধ্যমে এক ইউনিট ব্যবস্থা ভেঙে ফেলেন এবং পশ্চিম পাকিস্তানে ৪টি প্রদেশ পুনরুজ্জীবিত হয়। তিনি সংখ্যা সাম্য নীতিও বাতিল করেন। তার বদলে চালু করেন জনসংখ্যার ভিত্তিতে পার্লামেন্ট বা জাতীয় পরিষদে প্রতিনিধিত্ব। এটিকে ইংরেজিতে বলা হয়, Proportional representation বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব। এর ফলে জাতীয় পরিষদে পশ্চিম পাকিস্তানের আসন কমে গিয়ে হয় ১৩৮টি এবং পূর্ব পাকিস্তানের আসন বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৬২টি। পূর্ব পাকিস্তানের আসন পশ্চিম পাকিস্তানের চেয়ে ২৪টি বৃদ্ধি পায়। পশ্চিম পাকিস্তানিরা এ জন্য জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ওপর প্রচ- ক্ষুব্ধ হয়। কারণ LFO দারুণভাবে পূর্ব পাকিস্তানকে (আজকের বাংলাদেশ) ফেভার করে।
আরো অবাক ব্যাপার হলো এই যে, এই নির্বাচনে অন্তত পূর্ব পাকিস্তানে এক বিন্দু কারচুপি হয়নি। এত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ইতিপূর্বে আর হয়নি। কারণ ইয়াহিয়া খান নিজেও নির্বাচন করেননি, তার সমর্থিত কোনো দলও নির্বাচন করেনি। এমন নিরপেক্ষ ও পরিষ্কার একটি নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ১৬২টি আসনের মধ্যে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে ১৬০টি আসনে। তার সাথে যুক্ত হয় পূর্ব পাকিস্তানের কোটায় আরো ৭টি মহিলা আসন। অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ ১৬৯টি আসনের মধ্যে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ লাভ করে ১৬৭টি আসন। ফলে পূর্ব পাকিস্তানের অন্য কোনো দল বা পশ্চিম পাকিস্তানের কোনো দলের সমর্থন ছাড়াই শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বা জাতীয় পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে।
॥ তিন ॥
কিন্তু এবার ইউনিয়ন পরিষদের ইলেকশনে কী হলো? দুই পর্বের ইলেকশন শেষ হয়েছে। এই দুই পর্বেই দেখলাম লাশের মিছিল। প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব মিলে নিহত হয়েছেন ৩৮ জন (মানবজমিন : ০২.০৪.২০১৬)। দু-একটি পত্রিকা অবশ্য লিখেছে ৫২ জন। এই ৩৮ জনের মধ্যে রয়েছে একটি শিশু ও একজন ছাত্র। এই ৩৮টি লাশ দেখার জন্যই কি এই সরকার ইউনিয়ন বোর্ডেও দলীয় ভিত্তিতে ইলেকশন করছে? কেবলমাত্র দুটি দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। আরো ৪টি দফা বাকি আছে। প্রতিটি দফায় যদি ১৯ জন করে মারা যায় (কারণ দুই দফায় ৩৮ জন মারা গেছে) তাহলে ৬ দফায় ১৯ঢ৬=১১৪ জন মারা যেতে পারে। তাহলে এই শতাধিক লাশ দেখার জন্যই কি সরকার দলীয় ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের ইলেকশন দিয়েছে? দুই দফায় ৪ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাহলে ৬ দফায় অন্তত ১২শত ব্যক্তি আহত হতে পারেন। এই সহ¯্রাধিক ব্যক্তির জখম হওয়ার জন্যই কি ইউনিয়ন পরিষদের লেভেলেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হলো? দুই দফায় ৪০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাহলে ৬ দফায় কি ১২০ জন গুলিবিদ্ধ হবেন? এই জন্যই কি ইউনিয়ন বোর্ডেও পার্টিভিত্তিক নির্বাচন? মঠবাড়িয়ায় পুলিশ কোনো রূপ কাঁদানে গ্যাস না ছুঁড়ে বা কোনো ওয়ার্নিং না দিয়ে সরাসরি গুলি করেছে। মারা গেছে ৫ জন। আগে গোলাগুলি ও মারামারি হতো ঢাকার মহানগরীতে, বড়জোড় বড় বড় শহরগুলোতে। এবার আওয়ামী লীগ সরকার মারামারি, রক্তারক্তি ও খুনাখুনিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে গেল। এই জন্যই কি ইউনিয়ন পরিষদেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন?
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।