বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইসলাম ও দেশ রক্ষা পরিষদের আহবায়ক মাওঃ হামিদুর রহমান রেজভী ও সদস্য সচিব মাওঃ আমিনুল ইসলাম কাশেমী এক বিবৃতিতে বলেছেন কথিত আদিবাসীদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস হতে জানা যায়, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এদেশের আদিবাসী নয়।
একইভাবে ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, সমতলের উপজাতীয় সম্প্রদায় যেমন সাঁওতাল, গারো, হাজং, মনিপুরী প্রভৃতির বাংলাদেশে আগমনের ইতিহাস তিন-চারশ’ বছরের বেশি নয়। ১. চাকমাঃ আদিনিবাস হলো চম্পকনগর, মায়ানমার, আনুমানিক ১৭১১ সালের দিকে আসে ২. ত্রিপুরাঃ আদিনিবাস ভারত , আনুমানিক ১৫ শতকের দিকে আসে ৩. মারমাঃ আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৭ শতকের শুরুর দিকে আসে ৪. তঞ্চংঙ্গাঃ আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৮১৯ সালের দিকে আসে ৫. চাকঃ আদিনিবাস মায়ানমার ,আনুমানিক ১৮ শতকের শুরুর দিকে আসে ৬. খুমিঃ আদিনিবাস মায়ানমার , নির্দিষ্ট তারিখ নেই নেই ৭. খ্যাং: আদিনিবাস চীন হয়ে মায়ানমার ,আনুমানিক ১৯ শতকের শুরুর দিকে আসে, ৮.লুসেই ,পাংখুয়াঃ আদিনিবাস মিজোরাম,আনুমানিক ১৯ শতকের শুরুতে আসে ৯.বমঃ আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৮৩৮ সালের দিকে আসে ১০. ম্রো/মুরং: আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৭ শতকের দিকে আসে ১১. রাখাইন/ মগঃ আদিনিবাস মায়ানমার, ১৭৮৪ সালের দিকে আসে ১২. কুকিঃ আদিনিবাস মায়ানমার
প্রখ্যাত উপজাতি গবেষক ও নৃতত্ত্ববিদ RHS Hutchison (1960), TH Lewin (1869, অমেরেন্দ্র লাল খিসা, Ahmed (1959) এবং অযসবফ (১৯৫৯) প্রমুখের লেখা, গবেষণাপত্র, থিসিস এবং রিপোর্ট বিশ্লেষণে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, উপ-জাতীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী গুলো আদিবাসী নয়। তারা সবাই একবাক্যে বলেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজাতীয়রা নিকট অতীতের কয়েক দশক থেকে নিয়ে মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে এদেশে স্থানান্তরিত হয়ে অভিবাসিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এসব উপজাতিগুলো প্রায় সবাই যুদ্ধবিগ্রহ এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার ফলে তাদের পুরাতন বসতিস্থান থেকে এখানে পালিয়ে এসেছে। নতুবা, এক জনগোষ্ঠী অন্য জনগোষ্ঠীর পশ্চাৎধাবন করে আক্রমণকারী হিসেবে এদেশে প্রবেশ করেছে (Huchinson 1909, Bernot 1960 and Risley 1991) । সুতরাং উপজাতির ধুয়া তুলে চাকুরী ও ভর্তিতে কোটা নির্ধারণ সম্পূর্ণ বেআইনী। এর ফলে পার্বত্য বাঙ্গালীরা ক্রমেই বঞ্চিত হয়ে পিছিয়ে পড়েছে। তাই উপজাতির নামে এই বেআইনী কোটা বিধিমালা বাতিল করে সাধারণ মেধার ভিত্তিতে এদেরকে চাকুরী ও ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।