বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে প্রতিটি ঘোড়া। প্রতিটি ঘোড়ারই রঙ আর আকার ভিন্ন। কেউ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান অবস্থা একেকজন ঘোড়সওয়ারের। তারা নেমে পড়লেন অন্য রকম এক লড়াইয়ে। সবার দৃষ্টি ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠের মাঝখানে। আবহমান বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য এ ঘোড় দৌড়কে ঘিরে গতকাল রোববার বিকেলে এখানে বসেছিল প্রায় লাখো মানুষের মিলন মেলা। বরাবরের মতো এবারো বাংলা নববর্ষকে ঘিরে এ নির্মল বিনোদনের আয়োজন করেন ময়মনসিংহ পৌরসভা’র মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু। মাঠের চতুর্দিক মানুষের ভিড়ে লোকারণ্য হওয়ায় অনেকেই আশপাশের বিভিন্ন ক্লাবের ছাদে আবার অনেকেই গাছের মগডালে উঠে বসেন। কদম ও দাপট দৌড়ে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকার ঘোড়সওয়াররা অংশ নেন। ৫৩টি ঘোড়া জয়ের জন্য উঠেপড়ে নেমে যান। মাঠের মঞ্চ থেকে ভাষ্যকার বার বার বলে যাচ্ছিলেন-‘কদম ভাঙলে পুরস্কার নয়। এ দৌড়ে চার পা একসঙ্গে চলবে।’ ধীর গতির কদম দৌড় শেষেই শুরু হয় দাপট দৌড়। এ দৌড়ে গতির লড়াইয়ে নেমে যান একেকজন ঘোড়সওয়ার। এ দৌড় শুরু হবার আগেই ভাষ্যকার বলছিলেন, সাবধান। সবাই নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।’ ভাষ্যকারের মুখে এমন উচ্চারণের সময়েই শুরু হয় অন্য রকম উত্তেজনা। হর্ষধ্বনি আর উল্লাসে যেন কেঁপে উঠছিল সার্কিট হাউজ মাঠ। নিয়ম ভেঙে ঘোড়ার পেছনে পেছনে ছুটে চলতে দেখা যায় বাঁধভাঙা আনন্দে বিভোর তরুণের দল। এ ঘোড় দৌড় উৎসবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন ও পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্যের তাঁক লাগানো উপস্থিতি বিমুগ্ধ চিত্তে উপভোগ করেন। এর আগে ভিন্নধর্মী এ প্রতিযোগিতার আয়োজক ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু লাখো মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা আবারো ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পুরনো এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড.সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলামও পৃথকভাবে গ্রামীণ খেলাধুলার এ প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখতে ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু’র এ আয়োজনের প্রশংসা করেন। প্রতিযোগিতায় ১নং দাপট দৌড়ে প্রথম ইলিয়াস আর্মি পেয়েছেন একটি ফ্রিজ। দ্বিতীয় আবুল হাশেম ২১ ইঞ্চি কালার টিভি, তৃতীয় বোরহান ১৪ ইঞ্চি কালার টিভি পুরস্কার পেয়েছেন। ১নং কদম দৌড়ে প্রথম আজাহার, ২নং কদম দৌড়ে ইসহাক মেম্বার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন কালার টিভি। অতিথিরা তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।