Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নতুন বছরেই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারে পরিবর্তন আসবে বলে বিএনপির প্রত্যাশা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৮, ৬:৫১ পিএম | আপডেট : ৭:৪০ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

বিকাল সাড়ে ৩টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর উদ্যোগে ১৪২৫ বঙ্গাব্দ বরণের অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দলের এই প্রত্যাশার কথা জানান।


তিনি বলেন, “নতুন বছর হোক মিথ্যার বিপরীতে সত্যের বিজয়ের বছর, নতুন বছর হোক স্বৈরাচারের গ্লানি মোচন করে গণতন্ত্রের বছর, নতুন বছর হোক জনগণের বিজয়ের বছর, নতুন বছর হোক বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বছর। এই প্রত্যাশা আমাদের।

“আমরা শপথ নিতে চাই এই নতুন বছরের প্রথম দিনে - আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করে, দেশে একটি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে, সংসদ ভেঙে দিতে বাধ্য করে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব। এই বছরকে আমরা গণতন্ত্রের বিজয় বছর, বেগম খালেদা জিয়ার বিজয়ের বছর ও জনগণের বিজয়ের বছর হিসেবে দেখতে চাই।”

খালেদা জিয়ার কারাবাসের প্রসঙ্গে টেনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “আজকে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে কথা বলছি। আমরা যখন প্রতিবছর নতুন বছরকে বরণ করে নেই, প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে যিনি উপস্থিত থাকতেন তিনি হলেন দলের চেয়ারপার্সন, গণতন্ত্রের মা দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে নেই। তাকে একটি মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

“যখন নতুন বছর বরণ করছি তখন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুদূর লন্ডনে বাধ্য হয়ে অবস্থান করছেন। আজকে এই মঞ্চে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। তার মাতা দুইদিন আগে মৃত্যুবরণ করায় তিনি এখন ঠাকুরগাঁওয়ে আছেন।এরকম একটি পরিস্থিতিতে বেদনা নিয়ে এই নতুন বছরকে বরণ করছি।”

বিগত বছরকে ‘হতাশা, অন্ধকার ও স্বৈরাচারী শাসনের’ বছর হিসেবে অভিহিত করে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

দলের কারাবন্দী চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বাংলা নতুন বছরে দেশবাসীসহ দলের সর্বস্তরে নেতাকর্মী-সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা আব্বাস দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “দেশ আজ অশুভ শক্তির কবলে বন্দি। শুভ আসবে কবে জানি না। তবে শুভ দিন আনতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অশুভ শক্তির সঙ্গে একটা যুদ্ধে যেতে হবে। নাহলে কিছু হবে।”

বিকাল সাড়ে ৩টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর উদ্যোগে ১৪২৫ বঙ্গাব্দ বরণের এই অনুষ্ঠান হয়।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বের পর কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনসহ শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গীতিকার ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিচালনায় ‘সংস্কৃতি থেকে সমৃদ্ধি’ গীতিনাট্য পরিবেশিত হয়। এর সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন কিসলু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ