Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই সিটি নির্বাচন ইসির বড় পরীক্ষা -ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৩:৪০ পিএম

দুই সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচন ইসি ও সরকারের জন্য বড় পরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এসময় গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ সকল স্থানীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও দাবি জানান তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইসি ও সরকারের জন্য বড় পরীক্ষা। এই নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষভাবে করতে পারে সেটি দেখবে জনগণ। তারা যদি এই দুই সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন না করতে পারে তাহলে প্রমাণিত হবে তাদের দিয়ে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজনের রগ কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগের এক নেত্রী। আন্দোলনের মুখে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারও করেছে। অথচ তাকে আবার ফুল দিয়ে বরণ করে দলে ফেরানো হয়েছে। এই রগ কাটাকে উৎসাহিত করতে আওয়ামী লীগ নেতারা ছাত্রলীগের ওই নেত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেছে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যারা আন্দোলনে গিয়েছিল নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন এটা প্রমাণিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনের কাছে মাথা নত করে কোটা পদ্ধতি তুলে নেয়ার মাধ্যমে। অতএব এই আন্দোলনে কোনো মামলা থাকতে পারে না। যাদের নামে মামলা হয়েছে আমি অবিলম্বে তাদের নামে করা সকল মামলা তুলে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ছাত্ররা চেয়েছিল কোটা সংস্কার করা হোক। ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হোক। কিন্তু কোটা সংস্কার না করে ছাত্রদের আন্দোলনের এক পর্যায় ক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে দিলেন। এখন আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। তা না হলে আমরা বিশ্বাস করি না আপনি আসলেই কোটা বাতিল বা সংস্কার চান।

জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, পূর্বের সকল জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কারণ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে মাঠে সেনাবাহিনী থাকলে সাধারণ ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে কণ্ঠশিল্পী মনির খান, সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ রফিক আফরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



 

Show all comments
  • ফরিদুল আলম ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৭:০২ পিএম says : 1
    আপনা যতো কিছুই বলেন না কেন সরকারী দল আবার চলে,বলে - কৌসলে, জোরপূবর্ক, মানুষকে মেরে ধরে খমতা নিয়ে ফেলবে। কারন তারা জানে সুষট নির্বাচন হলে একটা ছিট ও পাবেনা।
    Total Reply(1) Reply
    • মি, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৮:২১ পিএম says : 4
      Mr.ফরিদ ছাহেব আপনার এত বড় মাথা কি ভাবে হল? কি চালের ভাত খান আপনি বলবেন কিন্তু

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. মোশাররফ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ