রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে শহিদুল শেখ (২২) নামে এক যুবকের ডান হাতের কুনই থেকে রামদা দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শহিদুল শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রী ও মোবারকদিয়া গ্রামের মানিক শেখের ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জানা যায় শহিদুলদের সাথে একই গ্রামের মোবারকদিয়া গ্রামের আলী শেখদের (৫০) সাথে দীর্ঘদিন জমিজমা বিরোধ চলে আসছিল। গত ৯মাস আগে শহিদুল আলীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করলে তার ডান হাত পঙ্গু হয়ে যায়। এর প্রতিশোধ হিসেবে ঘটনার দিন শহিদুল দাদপুরের চিতার বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নতুবদিয়া সড়কে রতন মাতুব্বরের বাড়ির সামনে পৌঁছালে আলীর আপন ছোট ভাই জুলহাস, চাচাতো ভাই ফারুক ও দাদপুর গ্রামের তার দলীয় মিজানসহ কয়েকজনকে নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা শহিদুলের ডান হাত কুনই থেকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায়। স্থানীয় ভাবে শহিদুল শেখ উপজেলা আ’লীগের সদস্য ও দাদপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. শামিম মোল্যার সমর্থক। জুলহাস শামিম মোল্যার বিরোধী গোলাম মওলা গ্রæপের সমর্থক। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এব্যাপারে শহিদুল ও জুলহাসদের পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, গ্রামের আধিপত্য ও জমিজমা বিরোধ সংক্রান্তে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয়। থানার এসআই মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, পূর্বশক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।