পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর ও একজনের রগ কাটার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ওই হলের ছাত্রলীগ সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে। বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগের পাশাপাশি হল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে এই ছাত্রলীগ নেত্রীকে। এশাকে হল থেকে এবং বিশ^বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। অন্যদিকে ছাত্রলীগও রাতেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে দল থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বহিষ্কার করে।
গত মঙ্গলবার রাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রীদের মারধর ও এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠে ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে। পায়ের রগ কেটে দেওয়ায় আহত মোরশেদা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। হলের আবাসিক ছাত্রীরা জানান, সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগ সভাপতি ইফফাত জাহান এশা মোরশেদার পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন। এছাড়া ছাত্রীদের পাঠানো ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, হলের সিঁড়ি ও রুমের মেঝেতে রক্তের ফোঁটা জমে আছে। এ ঘটনায় হলের ছাত্রীরা ক্ষিপ্ত হলে ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর রুমের দরজা বন্ধ করে আটক থাকলে তাকে বের করে আনা হয়।
সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীরা জানায় রাতে চিৎকার শুনে এশার রুমে যেয়ে দেখতে পান রুম আটকানো। তারপর তারা দড়জা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করলে এক ছাত্রীকে রক্তাক্ত উদ্ধার করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ইশা ঐ ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেন।
এদিকে সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রীদের উপর এমন হামলার ঘটনায় মধ্যরাতেই উত্তাল হয়ে উঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। আন্দোলনরত ছাত্রীরা হলের নিচে নেমে এসে এশার বহিষ্কারের দাবিতে শ্লোগান তুলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে এশাকে জুতার মালা পরিধান করিয়ে দেয়। একই সময় রাতে ছেলেদের হল গুলো থেকে হাজার খানেক শিক্ষার্থী ঐ হলের সামনে জড়ো হয়ে এশার শাস্তি দাবি ও আমার বোন রক্তাক্ত কেন, প্রশাসন জবাব চাই শ্লোগান দিতে থাকে।
অন্যদিকে, এই ঘটনা শুনে অন্যান্য ছাত্ররা বিভিন্ন হল থেকে সুফিয়া কামাল হলে সামনে আসতে চাইলে প্রত্যেকটি হলের ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হল গেটে অবস্থান নিয়ে গেট বন্ধ করে রাখেন যাতে কেউ বের হতে না পারে। তবে বিজয় একাত্তর হল, কবি জসীম উদ্দীন হল ও জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙ্গে সেখানে উপস্থিত হন বলে জানান সেখানে আসা এসব হলের শিক্ষার্থীরা।
রাতে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে একটি বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিটি হল প্রদক্ষিণ করে আবার সুফিয়া কামাল হলের সামনে অবস্থান নেয়।
ছাত্রলীগ নেত্রী ইফফাত জাহান এশার বাড়ি ঝিনাইদহে। তার বাবা মো: ইসমাইল হোসেন বাদশা জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।