পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের দেয়া তথ্যের সাথে দ্বিমত পোষন করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য অনুমান নির্ভর। বিশ্বব্যাংক কি বললো তাতে কিছু যায় আসে না। তারা অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তথ্য দেয়। বিশ্বব্যাংক বিবিএসের দেয়া ৭.৬৫ শতাংশপ্রবৃদ্ধির হার নিয়ে প্রশ্ন ও সংশয় প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের দাবি চলতি অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৬ শতাংশ। যেভাবে উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধি ১৩.২ শতাংশ বলা হয়েছে, এর পেছনে কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছে না বিশ্বব্যাংক। গত সোমবার ঢাকা অফিসে বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই বিশ্লেষন তুলে ধরেন সংস্থার মূখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান, মিডিয়া প্রধান মেহরিন এ মাহবুব।
বিশ্বব্যাংকের ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জন্য এখন প্রটেনশিয়াল প্রবৃদ্ধি হলো ৬.৫ থেকে ৬.৬ শতাংশ। জিডিপির অনুপাতে ব্যক্তি বিনিয়োগ স্থবির। উৎপাদন খাতে ১৩.২ শতাংশ বলা হচ্ছে, কিন্তু এটা কোথা থেকে এলো। সেটা ভাবনার বিষয়। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য একটা কারন থাকতে হবে। সে ধরনের কোনো কিছু দেখছি না। তিনি বলেন, যারা ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে তারা হয় রফতানি বা বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে করেছে। আবার কেউ উভয়ের মাধ্যমে। কিন্তু বাংলাদেশ রফতানি ও বিনিয়োগ ছাড়া কিভাবে করলো? বিশ্বব্যাংকের এমন বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিশ্বব্যাংক ফরমাল ইকোনমি নিয়ে কাজ করে। তাদের কোন সার্ভে নাই, ঢাকা অফিসে বসে প্রতিবেদন তৈরী করে, ঢাকার বাইরে যায় না। বিশ্বব্যাংকের ফিগার সঠিক নয়। বিশ্বব্যাংকের দেয়া তথ্যে আমি হতভম্ব।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাব। এটা ব্যাক্তি বিশেষে ভিন্ন হয়। বিশ্বব্যাংকের ভারত অফিসের কর্মকর্তারা যদি জিডিপি প্রবৃদ্ধির ফিগা দিত এটা ৮ শতাংশ হতে পারত। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের তথ্য নিয়ে মাতামাতি করে। বিবিএসে কোটি টাকা ব্যয় করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। সেই বিশ্বব্যাংক আবার বিবিএস নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশ্বব্যাংক আমাদের কেন গ্রহণ করে না আমরা জানি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।