পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট ব্যুরো : সিলেট নগরীর মিরাবাজার খারপাড়া এলাকায় মা রোকেয়া বেগম ওছেলে রবিউল ইসলামকে খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন মূল অভিযুক্ত তানিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ভোর রাতে কুমিল্লার তিতাস এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই’র) একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই’র) বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করীম মল্লিক রেজা তানিয়াকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত রোববার রাতে সিলেট নগরী থেকে অভিযান চালিয়ে তানিয়ার স্বামীকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার তিতাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তানিয়াকে।
এর আগে গত মঙ্গলবার শাহপরান থানার মুর্তিচক গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নজমুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি আটক করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা সিলেটে নিজ শয়নকক্ষে খুন হওয়া মা ও ছেলে হত্যার ঘটনায় নাজমুল জড়িত রয়েছেন। তাকে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত)রোকেয়া খানম। শুনানি শেষে বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো আসামির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, গ্রেফতারকৃত তানিয়া মিরাবাজার ডাবল হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশের সন্দেহের তালিকায় থাকা একজন। পুলিশ এবং স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে , সম্প্রতি তানিয়ার (১৬) সঙ্গে পার্লার ব্যবসায়ী রোকেয়া বেগমের বাকবিতন্ডা হয়। তানিয়া তার বাসায় প্রায় ৬ মাস ধরে কাজ করছিল। বাকবিতন্ডার পর রোকেয়ার বাসা থেকে চলে যায় তানিয়া। এর ২/৩ দিন পর স্থানীয় যুবক সুমন ওরফে কাঞ্চা সুমন, একে পাপলু ও শিপনকে নিয়ে রোকেয়ার বাসায় যায় তানিয়া। এ সময় তার সঙ্গে ওই যুবকদের কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে স্থানীয়রা উদ্যোগ নিলেও কোনও লাভ হয়নি। পরে তারা রোকেয়াকে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিতালি ১৫/এ নম্বরের তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন রোকেয়া বেগম। গত ১ এপ্রিল রবিবার বাড়িরভেতরে থাকা রোকেয়া বেগমের পাঁচ বছরের মেয়ে রাইসার কান্না ও পচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবরদেন। পরে দুপুরে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম রোকনের লাশ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের কারেন রোকেয়ার ভাই জাকির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।