Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শান্তিপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করা হবে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৮, ২:১৩ পিএম

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চান তারা। এ জন্য মিয়ানমার ও বাংলাদেশ দুই দেশকেই সহযোগিতা করছে ভারত।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে।
বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব গোখলে বলেন, দুই দেশ সন্ত্রাস দমনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। ভারত দুই দেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ উচ্চতায়।

এ সময় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনে শুভেচ্ছা জানান গোখলে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বৈঠকের বিষয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা (ভারতে) যত দ্রুত সম্ভব এটি সমাধান করবে, আমি খুশি।

বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।



 

Show all comments
  • nurul alam ৯ এপ্রিল, ২০১৮, ৫:৫৭ পিএম says : 0
    মিঃ পররাষ্ট্র সচীব যা বললেন তা কি সত্যিই সত্য ? তাঁর বচনগুলো অসত্য হওয়ার শতভাগ কারণ রয়েছে । সম্প্রতি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের চলমান ভূমিকায় তারা সন্তুষ্ট । আর আমরা সাধারণ মানুষ কী দেখছি । জাতিসংঘ মহাসচিব মিঃ গুতেরেস সর্বশেষ যা বলেছেন তাওতো চরম হতাশার । তিনি বলেছেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের থাকার মত অবস্থা নেই । আর মিয়ানমারের টালবাহানা এবং চলচাতুরিতো চলছেই । বাংলাদেশ-মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তির সময় সরকারের পক্ষ হতে বলা হয়েছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে বড় কুটনীতিক সাফল্য অর্জন হয়েছে । সর্বশেষ ভারতের পররাষ্ট্র সচীব মহোদয়-এর ঢাকা সফর আমাদের জন্য আসলে কী বার্তা ? আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাই অদ্যবধি রোহিঙ্গ প্রত্যাবাসন নিয়ে ভারতের নেতা-নেত্রীদের কিছু বক্তব্য আর আশ্বাস ছাড়া বাস্তব বা কার্যকরী কোন পদক্ষেপ প্রতিভাত হয়নি । তাহলে মিঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসে এমন তৃপ্ত হলেন ? শুধু শুধু দাদাগোরে ‍খুশি করবার জন্য এরকম কথা বলা ছাড়া যে অন্যকিছু নয় তা দেশবাসী ভালো করেই বোঝেন । এযাবৎ ভারত কি মায়ানমারকে একবারও চাপ সৃষ্টিমুলক কথা বলেছেন ? না, বলেন নি । বরং তারা আসামে বসবাসরত মুসলমানদের বাংলাদেশে বিতাড়নের জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে । তাহলে তারাই যদি এরূপ করতে উদ্যত তবে মিয়ানমার সে দেশের মুসলমানদের বাংলাদেশ হতে ফেরত নিতে ভারত শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থার আয়োজন করবে এটা কেমন যেন হাস্যকর নয় ? শুধু হাস্যকর নয় এটা বাংলাদেশের সঙ্গে একটা চরম রসিকতা বৈ অন্য কিছু নয় । বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা রোহিঙ্গাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কব্জায় রেখে ক্ষমতা থাকা দীর্ঘায়িত করতে এসব করছে । জানিনা আরো কত দুর্ভোগ এদেশের মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে । দেশের মানুষকে এখন থেকে ভাবতে হবে সামনের নির্বাচনে কোন ধরনের সরকার এদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে । একমাত্র চীনই পারে নিমেষেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান । আমাদের সে পথে না গিয়ে ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য পার্শ্ববর্তীদের আশির্বাদ পুষ্ট হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা নি:সন্দেহে দেশ এবং জাতির জন্য বড় হুমকি এবং বিপর্য য় বয়ে আনবে । ভারত সরকার যতই আশ্বাস প্রদান করুক তাতে আশা্ন্বিত হওয়ার কিছু নেই কারণ তাদের দেশ আসাম হতেও মুসলমানদের বিতাড়নের যে প্রস্তুতি চলছে তার কোন ব্যাখ্যা ‍দিল্লী হতে অদ্যবধি আসেনি ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ