পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিজের অবস্থান জানালেও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হাত নেই বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব আর সরকারের দায়িত্বটা সংবিধান ঠিক করে রেখেছে। আমাদের সংবিধানে সব আছে। এখানে সংবিধান বহির্ভুত কিছু কারার সুযোগ নেই। নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করবে, তখন আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধিনে চলে যাবে।
গতকাল রবিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার পুরো নির্বাচন কমিশনের বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নূরুল হুদা। এর কয়েক ঘন্টা পর রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে থাকবে। সেনাবাহিনী কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অধীনে যাবে না। নির্বাচন কমিশন যদি প্রয়োজন মনে করে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ যদি হয় তাহলে সে অবস্থায় নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সেনাবাহিনী নিয়োগের কোন ক্ষমতা নেই। তারা অনুরোধ করতে পারবেন। সরকারী বাস্তবতা যেটা আছে, বাস্তব বা প্রয়োজন এবং অবস্থা অনুযায়ী সেনাবাহিনী অনেক সময় স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে। যদি প্রয়োজন হয় তারা স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করতে পারে। এখানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হবে কি না; এটা নির্ধারণ করবে সরকার বাস্তব পরিস্থিতির প্রয়োজনে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে সরকার নাটক করছে, দলটির এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাকে (খালেদা জিয়া) বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে জোর করে নিয়ে আসার কি প্রয়োজন? এতে অনেক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকদের মুভ করতে হয়। এখানে হ্যাসেলেরও সম্ভাবনা থাকে। বিএনপির নেতাকর্মীরা তো হ্যাসেল একটা করতে চায়, তারা জানান দিতে চায় আমরা মাঠে আছি। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই চিকিৎসকরা প্রয়োজন মনে করেছেন এবং সেখানে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাকে দেখেছেন। এখন যদি এটা না করতো, তাহলে যদি এর জন্য বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতো, তখন কি হতো বলুন?
কাদের বলেন, এখন এটা করলেও দোষ, ওটা করলেও দোষ ! এখানে একটা ভালোই হলো তারা ে যেসব খোঁঁজখবর দিচ্ছিলেন, জেলে যাওয়ার সময় তিনি যেমন ছিলেন তার থেকে এখন ভালই তো দেখাচ্ছিল। এটাও একটা ভালো, দেশের মানুষ দেখলো। তিনি সুস্থ আছেন ভালো আছেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এটা আমরাও চাই ।
ইসির সঙ্গে সিরিয়াসলি কথা আছে
পাশের দেশ ভারতের সঙ্গে তুলনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের দেশে বিধান সভার নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রী প্রচারে নামতে পারলে আমরা কেন পারবো না, এ বিষয় নিয়ে ইসির সঙ্গে কথা আছে। স্থানীয় নির্বাচনেও মন্ত্রী এমপিরা যাতে ক্যাম্পেইন করতে পারে এর জন্য অতিশীগ্রই ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পাশের দেশ ভারতে বিধান সভার নির্বাচনের সময় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে পারে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, এমপিরা কেন স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ক্যম্পেইন করতে পারবে না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা আছে।
তিনি বলেন, এমন কি অসুবিধা যে, এমপিরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ক্যাম্পেইন করতে পারবে না। এ বিষয়ে ইসির সঙ্গে সিরিয়াসলি আলোচনা করতে চাই। আমাদের কথা গুলো তাকে জানাবো। খুব শিগগিরই আওয়ামী লীগের একটা প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যাবে, এ বিষয়ে কথা বলতে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমিরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।