Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গর্ভপাত

শিশু বলৎকারের অভিযোগ

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনার পর লম্পট প্রতিবেশি যুবক ফুরকান পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি বিয়ের মাধ্যমে সমঝোতা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে স্থানীয় মাতব্বররা জানিয়েছেন। এদিকে ঝিনাইদহ শহরের প্রগতি কোচিং সেন্টারের দুই শিক্ষক ও চার ছাত্রের বিরুদ্ধে শিশুশ্রেনীর এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুটি ঘটনা তদন্তাধীন ও আইনগত প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ। ঝিনাইদহের সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন জানান, স্থানীয় বদরগঞ্জ বাকী বিল্লাহ মাদ্রাসার ১০শ্রেনীর এক ছাত্রীর সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ফুরকান। এরপর মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে হরিণাকুন্ডুর আলহেরা ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায় ফুরকান। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের সদস্য অবসরে যাওয়া চিকিৎসক ডাঃ এমদাদ মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনার পর থেকেই ফুরকান ও তার পরিবার সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে। সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন সমঝোতার মাধ্যমে মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়ানোর উদ্যোগ নিয়ে ব্যার্থ হয় বলে জানান স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শুকুর আলী। তিনি গতকাল শনিবার বিকালে জানান, গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে নির্যাতিত মেয়েটিতে গৃহবধূ হিসেবে ঘরে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে ঝিনাইদহের প্রগতি কোচিং সেন্টারের প্লে গ্রæপের এক শিশু ছাত্রকে বলৎকার করার অভিযোগে ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। শিশুটির মা জানিয়েছেন কয়েকদিন আগে প্রগতি কোচিং সেন্টারের সাদ্দাম হোসেন ও সরকার নামে দুই শিক্ষক তার শিশু সন্তানকে বলৎকার করে। এরপর ওই কোচিং সেন্টারের ছাত্র আলামিন, অংকন, রাব্বি ও বিপ্লব পালাক্রমে বলৎকার করে। এতে সে রক্তাক্ত ভাবে জখম হয়। এরপর প্রগতি কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ঝিনাইদ সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে শিশুটির। বিষয়টি নিয়ে কথা হলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অপুর্ব কুমার ঘটনার সত্যতা স্বীকারে করেন। শিশুটির মা সেলিনা জানান, প্রগতি কোচিং সেন্টারের অধ্যক্ষ বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য চাপ দিলেও তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, এই দুটি ঘটনা তদন্তাধীন ও আইনগত প্রক্রিয়ায় রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশু বলৎকারের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ