বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ধান, তরিতরকারী, রবিশস্য ও মৎস ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলীয় চরাঞ্চলে সূর্যমুখী চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। লবন সহিষ্ণু ভোজ্যফসল সয়াবিন চাষে ক্রমান্বয়ে আগ্রহ বাড়ছে। কম খরচে অধিক ফলনে লাভবান হচ্ছে কৃষক। ২০১৫ সালে মাত্র ৩৫ একরে সূর্যমুখী চাষের মাধ্যমে যাত্রা শুরু। চলতি বছর ৩১৫ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি সূর্যমুখী-২ চাষ করে ইতিমধ্যে সফলতা পেয়েছে চাষীরা। লবনাক্ততা ও সেচ সুবিধার অভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে শুস্ক মৌসুমে ৮০ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী থাকে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে বৈজ্ঞানিক যুগে অনাবাদী জমিতে এখন সূর্যমুখী-২ চাষ করে কৃষকরা নবযুগে প্রবেশ করেছে ।
উল্লেখ্য, রবিশস্য মৌসুমে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে তরিতরকারী, রবিশস্য, শাক সবজী, ও তরমুজ চাষের পাশাপাশি সয়াবিন চাষ লাভজনক হিসেবে সফলতা মিলছে। এখানকার কৃষক খাজা মেম্বার জানান, সয়াবিন চাষ কম খরচে অধিক ফসল উৎপন্ন সম্ভব। প্রতি একরে চার কেজি বীজ প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে চাষবাদে খরচ হচ্ছে ১১-১২ হাজার টাকা। অপরদিকে একর প্রতি সয়াবিন উৎপাদন হচ্ছে ৪০/৪৫ মন। সে হিসেবে একর প্রতি ৪০/৪৫ হাজার টাকা আয় হয়। সূবর্ণচর উপজেলার চর আমানুল্যা, পশ্চিম চরবাটা, চর বজলুল করিম ও আন্ডারচরে সয়াবিন চাষ হচ্ছে এবং আগামীতে আরো বিস্তীর্ণ এলাকা সয়াবিন চাষের আওতায় আসবে বলে কৃষকরা জানায়। সূবর্ণচরে গ্লোব এ্যাগ্রো লি. এর চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ সূর্যমুখী চাষের এক বিশাল পরিকল্পনা গ্রহন করেন। সূর্যমুখী তেলকে ভোজ্য তেল হিসেবে মানুষের হাতে তুলে দিতে দেশে প্রথমবারের মত আধুনিক কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে গ্লোব এ্যাগ্রো। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ প্রণব ভট্টাচার্য জানান, নোয়াখালী উপকূলীয় অঞ্চলে লবনাক্ত জমিতে কম খরচে ভাল ফলন পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। তাই এখানকার কৃষকরা বানিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী চাষ করছে। রবিশস্য মৌমুমে পতিত জমিতে সুর্যমুখী চাষ বৃদ্বিতে সরকারী ও বেসরকারীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হচ্ছে । নোয়াখালীর উপকূলীয় ও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল অতীতে এক ফসলের উপর নির্ভর ছিল । কিন্তু সময়ের বিবর্তনে কৃষি বিপ্লব সূচিত হবার পাশাপাশি এতদ্বঞ্চলে আমূল পাল্টে যাচ্ছে। ধান, রবিশস্য, তরিতরকারী, মৎস ভান্ডারের পাশাপাশি বিপূল অনাবাদী জমিতে সূর্যমুখী চাষের মাধ্যমে স্বণির্ভরতা অর্জনের পথে রয়েছে সম্ভবনাময়ী নোয়াখালীর বিস্তীর্ণ দক্ষিণাঞ্চল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।