বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় হেলালুল ইসলাম হেলাল নামে বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।
শনিবার দিনদুপুরে ধানক্ষেতে সেচ দেয়ার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়।
নিহত হেলালুল ইসলাম খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ও আলমডাঙ্গা উপজেলার জুগিরহুদা গ্রামের মৃত একদিল বিশ্বাসের ছেলে। তিনি রূপালী ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহ তিনেক আগে একই গ্রামের হাসিবুল ইসলামের ছেলে মানিকসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ও গাঁজাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তারা জামিন পাওয়ার পর হেলালকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। ওই মাদকব্যবসায়ীদের ধারণা হেলালই পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেন।
শনিবার সকালে গ্রাম থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ধানক্ষেতে সেচ দিতে যান হেলাল। এসময় ওঁৎ পেতে থাকা অবস্থায় কয়েকজন এসে তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হেলালকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শামীম কবির তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত হেলালের স্ত্রী স্কুলশিক্ষিকআ রাজিয়া সুলতানা জানান, গ্রামের হাসিবুল ইসলামের ছেলে মানিকসহ কয়েকজন বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল স্বামীকে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু জানান, হেলাল খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি। হেলাল দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক ছিলেন।
হেলালের ভাতিজা কায়রুল ইসলাম জানান, হেলাল পেশায় রূপালী ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গ্রামে চাষাবাদও ছিল তার।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহা. কলিমুল্লাহ জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।