নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বয়স বাড়লে নাকি পেসারদের ধার কমে। মাশরাফি বিন মর্তুজার হয়েছে উলটো। সময়ের সঙ্গে তিনি যেন আরও ধারালো। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগই দিচ্ছে তার প্রমাণ। এমন নৈপুণ্যের পেছনে আছে নিবিড় আত্মনিবেদন। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে দিয়েছেন ১৭ বছর। বয়সভিত্তিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট হিসাব করলে এটি দুই দশকেরও বেশি সময়। শত বাঁক পেরিয়ে ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে চলে আসা মাশরাফি বিন মুর্তজা এখনো যে দুর্দান্ত, এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ সেটিই দেখা গেল। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট (৩৮) পাওয়ার রেকর্ডটি এখন তারই। এই মাশরাফিকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যান দীর্ঘ দিনের সতীর্থ দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
তামিম দুর্দান্ত খেলেন, অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি স্তুতি বাণে ভাসান সতীর্থকে- সাধারণত এটাই তো দেখা যায়। কিন্তু আজ ভিন্ন ছবি। মাশরাফি দুর্দান্ত খেলছেন, প্রশংসার বৃষ্টিতে ভাসাচ্ছেন তামিম, ‘তিনি প্রায় তার ক্যারিয়ারের শেষ দিকে। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসে এমন দুর্দান্ত খেলা সহজ নয়। এটাই প্রমাণ করে, তিনি ঘরোয়া লিগও কতটা গুরুত্ব সহকারে নেন। তিনি যদি পাঁচ বা দশভাগ কম দিয়েও খেলতেন, তাহলেও এই অর্জন তার হতো না। যারা তাকে আদর্শ মনে করে বা যারা বাংলাদেশ দলের বোলার হতে চায়, মাশরাফি ভাইয়ের এই পারফরম্যান্স তাদের জন্য অসাধারণ উদাহরণ।’
প্রিমিয়ার লিগে উইকেট শিকারে মাশরাফির আশেপাশেও নাই কোন বোলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাজী অনিকের উইকেট মাশরাফির চেয়ে দশটি কম। জাতীয় দলের পেসারদের মধ্যে যারা নিয়মিত প্রিমিয়ার লিগ খেলেছেন কেউই রাখতে পারেননি ছাপ। মাশরাফির এই নিবেদন তরুণ পেসারদের জন্যে অনুকরণীয় বলে মত তামিমের, ‘যারা তাঁকে আদর্শ মনে করেন বা বাংলাদেশ দলের বোলার হতে চান, তাদের জন্য মাশরাফির এই পারফর্ম্যান্স একটা অসাধারণ উদাহরণ।’
জাতীয় দলের খেলা, পিএসএল থাকায় শুরুতে প্রিমিয়ার লিগ খেলার সময় হয়নি তামিমের। সুপার লিগের সময় ফাঁকা ছিলেন। কিন্তু তার দল কলাবাগান তখন নেমে গেছে রেলিগেশন লিগে, তিনি নিজেও পড়েন ইনজুরিতে। তাই এবার প্রিমিয়ার লিগ খেলতে না পারার হতাশা টাইগার ওপেনারের কণ্ঠে, ‘সত্যিই ঢাকা লিগ খেলাটা খুব এনজয় করি। ঘরোয়া এই আসরটাই আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। এই আসরের ক্রিকেটের মান অনেক উঁচুতে। এই আসরে খেলোয়াড়রা শতভাগের চেয়ে বেশি উজাড় করে খেলে। এ রকম একটা আয়োজনে খেলতে না পারাটা হতাশাজনক। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার ইনজুরি থেকে সেরে উঠাই আমার মূল কাজ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।