রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সৈয়দপুর উপজেলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণ কৃষকরা কলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এর ফলে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও এসেছে তাদের। অর্থকরি ফসল হিসেবে কলা চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই উপজেলার মাটি দোআঁশ ও বেলে-দোঁআশ হওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদের ক্ষেত্রে ধান আবাদকেই প্রাধান্য দিয়ে আসছেন। কৃষকরা এখন পুরাতন ধ্যান-ধারণা পাল্টে লাভজনক ফসল হিসেবে কলা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এই উপজেলায় অমৃত সাগর, সবরি অনুপম, চাম্পা, কবরি, নেপালি, মোহনভোগ মানিকসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ হয়ে থাকে। তবে সবরি, মানিক মেহের সাগর ও নেপালি কলার চাহিদা অনেক বেশি। কারণ হিসেবে জানা গেছে, ধান, পাট ও আখসহ প্রচলিত অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম ব্যয় খুবই কম। বিক্রির ক্ষেত্রেও ঝামেলা নেই। কলার বাজার দরেও সহজে ধস নামে না। কলার চারা বছরে তিন মৌসুমে রোপণ করা যায়। প্রথম মৌসুম মধ্য জানুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ, দ্বিতীয় মৌসুম মধ্য মার্চ থেকে মধ্য মে এবং তৃতীয় মৌসুম মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য নভেম্বর। একবার কলার চারা রোপণ করলে দুই-তিন মওসুম চলে যায়। কলাচাষিরা জানান, এক একর জমিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার খরচ করলে তাদের আবাদি কলা বিক্রি হয়ে থাকে এক থেকে সোয়া লাখ টাকায়। বর্তমানে উপজেলার কামারপুকুর, বাঙ্গালীপুর, বোতলাগাড়ী, হাজারীহাট ও শ্বাসকান্দরসহ বিভিন্ন গ্রামে কলার চাষ হচ্ছে। কলা চাষ করে এই উপজেলার অনেক কৃষক আজ স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।