পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের এমন কোনো ক্ষমতা ছিলনা যে তারা বাংলাদেশ দখল করে নেবে। যে বাঙালিকে পিন্ডি বাগে আনতে পারেনি, দিল্লির পক্ষে তাদের পদানত করা সম্ভব ছিলো না।
গতকাল গাজীপুরের ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। ভারতের আসামের এক বিধায়কের ‘১৯৭১ এ ভারতের উচিত ছিল বাংলাদেশ দখল করে নেয়া’ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, এখন কি হবে তা জানি না; তবে ’৭১ সালে বাংলাদেশ দখলের ক্ষমতা ছিল না ভারতের।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মালিকানা জনগণের লেখা থাকলেও ভ‚মিদস্যু ও লুটেরারা যেভাবে অন্যের জমি দখল করে রাখে; সেভাবে বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা ক্ষমতাশালীরা দখল করে রেখেছে। সরকারি অফিস আদালতে গেলেই টের পাওয়া যায় দেশের মালিক কারা। তিনি আরও বলেন, বড় বড় মানুষেরা বাংলাদেশের মাথা বিশ্ব দরবারে নিচু করেছে, আর ছোট ছোট ছেলেরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। স্বাধীনতা সম্মাননা পদক থেকেও সরকারি লোকেরা চুরি করে। শিক্ষামন্ত্রী নিজে বলেছেন, তিনি চোর, তার সহকর্মী মন্ত্রীরাও চোর। ভোট ছাড়া যারা সরকারে থাকে, আমি সেই দল করি না, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করি। যৌবনে আমার প্রেম হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে, এই দেশের সঙ্গে। আমরা জয়দেবপুরকে গাজীপুর, বিক্রমপুরকে মুন্সিগঞ্জ বানাতে পারি কিন্তু একটি লঞ্চ ডুবে গেলে উঠাতে পারি না, বিল্ডিং ধসে পড়লে মানুষকে বাঁচাতে পারিনা। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গতাজ তাজউদ্দিনের নাতিকে যেদিন গুলশান থানায় নির্যাতন করা হয়েছে সেদিন প্রকারন্তরে গোটা মুক্তিযুদ্ধকে, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে এমনকি আমাকেও নির্যাতন করা হয়েছে। অথচ তার কোনো বিচার হয়নি। আমরা নিজের মানুষকে, নিজের ঘরের মানুষকে সম্মান করতে শিখি নাই, সম্মান দিতেও জানি না, তবুও এখানে এই যে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তা মানবের হবে, দানবের হবে না। এই প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে ধাবিত হবে, এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাহসী হবে, দরিদ্রকে ভালোবাসতে শিখবে আবার অত্যাচারীর সামনে সিনা টান করে দাঁড়াবে, সেটাই হবে এই প্রতিষ্ঠানের সার্থকতা।
সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, যে হাত একাত্তরে দেশ মাতৃকাকে শত্রæমুক্ত করতে হানাদারদের বিরুদ্ধে অস্ত্রের ট্রিগারে ছিলো, যে হাত বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ও প্রতিরোধ করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ছিল মুষ্টিবদ্ধ, যে হাত পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজীর সম্প্রসারিত হাতকে প্রত্যাখ্যান করেছিল ঘৃণাভরে, সেই হাতে, সেই পবিত্র হাতের ছোঁয়া আজ আমাদের প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। সে কারণে আজকে আমরা আনন্দে উদ্বেলিত, উজ্জীবিত ও শিহরিত। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিষা দেবনাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর এর সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব এ. কে. এম. বদরুল আলম লিটন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মোঃ ছবদের হাসান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা জনাব জহিরুল ইসলাম হেলাল, মোঃ ফিরোজ মিয়া, ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের ম্যানিজিং কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান, ব্রাইট মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব আফজালুল হক প্রমুখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।