পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আতাউর রহমান আজাদ/ মো: জাহাঙ্গীর হোসেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আমরা কখনো বলিনী জঙ্গীবাদ নির্মূল করেছি। আমরা বলেছি জঙ্গীবাদ কন্ট্রোলে রেখিছি। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদ নির্মূল হবে, অবশ্যই হবে। গতকাল বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের অবস্থিত মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ১৪ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৮০১ টাকা ব্যয়ে ৬তলা ভিত বিশিষ্ট ডিসি ব্যারাক ভবনের উদ্বোধন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
গতকাল সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে পৌছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান, মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডেন্ট অতিরিক্ত ডিআইজি সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ নুরুল আমীন ও টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ, শেখ রাজীবুল হাসান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহসিন, মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সমুন, মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক প্রমুখ। সেখানে মন্ত্রীকে গার্ড অব ওনার প্রদান করা হয়।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সচিব মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, পিআরও শরিফ মাহমুদ অপু।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা অল আউট প্রচেষ্টা নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। মাদকের নির্মূলেও তিনি জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। তবে এক্ষেত্রে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নয়, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে এই প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে মন্ত্রী জানান। পরে মন্ত্রী মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে জাদুঘর পরিদর্শন করেন। দুপুরে মন্ত্রী টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ত্যাগ করেন।
অন্যদিকে টাঙ্গাইল কারাগারের বন্দিদের ফোনে কথা বলার জন্য ‘স্বজন’ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শান্তিপ্রিয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড চালোনোর জন্য কাউকে বাধা দেয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তার জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা অন্য দিন কর্মসূচি পালন করার জন্য বলা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকার সবারই রয়েছে। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থায় তাদের গণতান্ত্রিক চর্চা করে থাকে, তাহলে আমাদের করার কিছুই নেই। তাহলে আমরাও শান্তিতে থাকতে পারি। শুধু বিএনপি নয় সব দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে এই স্বাধীন দেশে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এটুআই কর্মসূচির মাধ্যমে এ কার্যক্রম সফল হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল কারাগারে এ ব্যবস্থা চালু করা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ। এ সময় জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী দিনে কারাগারের চারজন বন্দি তাদের স্বজনদের সাথে ফোনে কথা বলেন।
কারাগারকে শুধু সাজা কার্যকরের স্থান হিসেবে নয়, সংশোধনাগারে পরিণত করতে আরেক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ কারা অধিদফতর। বন্দিদের জন্য পরিবারের আরও কাছাকাছি থাকতে চালু করা হলো মোবাইল ফোন সেবা। ফলে এখন থেকে কারাগার থেকেই স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন বন্দিরা। সাধারণ বন্দিরা এই সুবিধার আওতায় থাকলেও জঙ্গি আর শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কারও সঙ্গেই মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ পাবে না। কারা মহাপরিদর্শক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার দুপুরে উদ্বোধনের পরই চালু হয় এই সেবা।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে দেশের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে প্রথম চালু হচ্ছে এই সেবা। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সার্ভার স্থাপনসহ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের সপ্তম পর্বে কারাবন্দিদের ফোনে কথা বলা সংক্রান্ত ‘প্রিজন লিংক’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এটুআই’র সহযোগিতায় একটি সফটওয়্যার সাজানো হয়েছে। এর মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের বন্দিরা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। মাসে দু’বার করে পাঁচ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট কথা বলতে পারবেন একজন কারাবন্দি। কারাগারে ডেভেলপ করা সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভেরিফায়েড হওয়ার পর ওই দুটি নম্বরে কথা বলার সুযোগ পাওয়া যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।