পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক চমৎকার। তবে দু’দেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও উন্নত করা সম্ভব। এ বিষয়ে দুই দেশকে এগিয়ে আসতে হবে। ধর্মমন্ত্রী গতকাল বুধবার সকালে তাঁর সচিবালয় কক্ষে ঢাকাস্থ ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজির নেতৃত্বে আগত পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের এ উন্নতি মুসলিম বিশ্বের জন্য আর্শীবাদ। তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইরানের শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন এবং আন্তর্জাতিক ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়ানোর আহŸান জানান।
সাক্ষাতকালে ধর্মমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামের প্রচারও প্রসারের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। সাক্ষাতকালে ইরানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ায় সরকারের প্রশংসা করেন। ইরানী রাষ্ট্রদূত বলেন, পাশ্চাত্য মিডিয়া বিভিন্ন সময়ে ইরানের সরকার ও জনগণের কার্যক্রম সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশন করে থাকে। দুই দেশের জনগণের সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকৃত অবস্থা জানা সম্ভব। এ সময় তিনি ধর্মমন্ত্রীকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানান। প্রতিনিধি দলের সদস্য ও তেহরান আল-মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর আরাফি সৌজন্য সাক্ষাতে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে ধর্মমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং বাংলাদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ধর্মমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মুক্ত পরিচ্ছন্ন শিক্ষা প্রদানের বিষয়ে প্রত্যয় ঘোষণা করেন। ইরানের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন সালমান, আল-মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা শাখার পরিচালক মাশায়িখি, ইরান দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা কে এইচ মাহফুজুল হক। সৌজন্য সাক্ষাতকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আনিছুর রহমান, যুগ্মসচিব মো: হাফিজ উদ্দিন, ড. মো: মোয়াজ্জেম হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।