পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী ২৯ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ব্যাপারে আশাবাদী দলটি।
গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে সাক্ষাত শেষে এই আশার কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এর আগে কয়েকদফা সমাবেশের তারিখ ঘোষণা করলেও অনুমতি না পাওয়ায় তা করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য এবার সমাবেশের অনুমতি পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে দেখা করেছেন দলটির তিন নেতা। এসময় নজরুল ইসলামের সাথে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। সাক্ষাত শেষে সমাবেশ করার ব্যাপারে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম খান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর বিএনপির এই নেতা বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার জন্য অনুমতির আশায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাৎক্ষণিক ফল না পেলেও অপেক্ষায় থাকবে বিএনপি। তিনি বলেন, উনি (মন্ত্রী) বলেছেন, সভা করার ব্যাপারে সাধারণত কোনো আপত্তি নাই। এ ব্যাপারে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সাথে আজকেই উনি কথা বলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা অপেক্ষা করব তার কথার জন্য। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, জনসভার ব্যাপারে সরকারের কোনো আপত্তি নেই। এর অনুমতি যেহেতু পুলিশ কমিশনার দেন, তার কাছেই তিনি জানতে চাইবেন, সমাবেশে কোনো অসুবিধা আছে কি না। এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গত ২২ ফেব্রæয়ারি এবং ১৯ মার্চ দুই দফা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েও সাড়া পায়নি বিএনপি। এরপর সমাবেশের জন্য ২৯ মার্চ নতুন তারিখ ঠিক করে গত ১৯ মার্চ আবারও ঢাকা মহানগর পুলিশ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় বিএনপি। কিন্তু এবারও অনুমতি না পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিনিয়র নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে প্রবেশ করেন। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বেরিয়ে এসে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার জন্য আমরা কয়েকবার তারিখ ঘোষণা করেছি। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় করতে পারিনি। আমরা আজ (গতকাল) এসেছি ২৯ তারিখের জনসভাটি করার জন্য কথা বলতে। অনুমতির ব্যাপারে আশাবাদী কিনা জানতে চাইলে এই বিএনপি নেতা বলেন, দেখেন, আশাবাদী তো সব মানুষের হওয়া উচিৎ। তবে নিরাশার অনেক ঘটনা আমাদের আছে। আমরা আরও নিরাশ হবো এটা আশা করি না। কিন্তু যে পর্যন্ত না ইতিবাচক ফল পাই, সে পর্যন্ত খুব বেশি পাওয়ার কোনো কারণ দেখি না। আরেক প্রশ্নে নজরুল বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যে রেসপন্স, তা কোয়াইট পজেটিভ মনে হয়েছে। তবে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনসভা ছাড়াও বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার- হয়রানি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, ভাই আমাদেরকে গ্রেফতার করেন অসুবিধা নাই। কিন্তু সাধারণ কর্মী ও নারী কর্মীদের এত বেশি গ্রেফতার করছে যে তারা কষ্ট পাচ্ছে। এটা বন্ধ করতে বলেছি আমরা। উনি বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন। বলেছেন, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবেন, যাতে এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আমাদের না থাকে।
গত ৮ ফেব্রæয়ারি থেকে কারাবাসে থাকা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, গণ অনশন, স্বাক্ষর সংগ্রহ ও স্মারকলিপি পেশের মত কর্মসূচি পালন করে আসছে। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি ইতোমধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রামে সমাবেশ করতে পারলেও রাজধানীতে এখনও অনুমতি মেলেনি।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, জনসভার ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। অনুমতির দায়িত্ব পুলিশ কমিশনারের। জনসভার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বও তার। কাজেই তিনি যখন মনে করেন যে, এখানে আশঙ্কা থেকে যায় কোনো কিছুর, তখনই তিনি স্থান পরিবর্তন কিংবা তারিখ পরিবর্তনের কথা বলেন কিংবা অন্য কোনো জায়গায় করার কথা বলেন। আমাদের পুলিশ কমিশনার যদি মনে করেন যে ২৯ তারিখ কোনো অসুবিধা নাই তাদের সভাটি করার জন্য, তখন তিনি সেই ব্যবস্থা নেবেন। আমাকে তারা অনুরোধ করেছেন একটু ভেবে দেখার জন্য। আমি নিশ্চই সংশ্লিষ্ট যারা তাদের সঙ্গে আলাপ করে তাদের কাছে জানতে চাইব- অসুবিধাটা কোথায় এবং অসুবিধা আছে কিনা।
বিএনপিকে ঢাকায় জনসভা করতে দেওয়া হচ্ছে না- এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সভা করছে। সভা একদম করছে না সেটা নয়। কোনো সময় স্থান পরিবর্তন হচ্ছে কিংবা সময় একটু পরিবর্তন হচ্ছে। সভা তারা করছেন তো। এখানে যে দেয়া হচ্ছে না সেটা কথা নয়। মন্ত্রী বলেন, আমি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলব। তারা যদি মনে করেন যে অসুবিধা নাই, তারা দেবেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ছিল, আমরা তাদের নেতা-কর্মীদের অযথা গ্রেফতার করছি। আমরা বলেছি, ভিডিওর মাধ্যমে যাদেরকে সম্পৃক্ত পেয়েছি কিংবা যাদেরকে তাৎক্ষণিক কোনো অবস্থায় পেয়েছি, তাদের পুলিশ ধরেছে। কোনো অভিযোগ নেই কিংবা অপরাধ করে নাই- এমন কাউকে সাধারণত আমরা গ্রেফতার করি নাই। আপনাদের (বিএনপি) কাছে খবর জানা থাকলে জানাবেন। ঢাকায় বিএনপির কোনো জনসভায় বিশৃঙ্খলা হযেছে- এমন কোনো উদাহরণ মনে পড়ছে কি না, তা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান একজন সাংবাদিক। উত্তরে কামাল বলেন, এটা আসার সময়, যাওয়ার সময় নানাভাবেই হয়। এটা কমিশনার সাহেব জানেন, তিনি এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।