Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কেশবপুরে প্রতিমন্ত্রীর শেল্টারে হাতুড়ি ও গামছা বাহিনী

যশোরে উপজেলা আ.লীগের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

যশোরের কেশবপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের শেল্টারে ‘হাতুড়ি বাহিনী ও গামছা বাহিনী’ গড়ে উঠেছে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, হাতুড়ি ও গামছা বাহিনী দিয়ে প্রতিমন্ত্রী নেতাকর্মীদের ধারাবাহিকভাবে নির্যাতন করছেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৪ সালের পর থেকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক হাতুড়ি বাহিনীর প্রধান খন্দকার আব্দুল আজিজ ও গামছা বাহিনীর প্রধান শরিফুল ইসলামকে দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর ধারাবাহিক হামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। ক্ষমতাসীন দলের এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী দিয়ে দলের কার্যক্রমে বাঁধা প্রদান, অফিসের সামনে বোমা হামলা, উপজেলা কমিটি পাস করানোর নামে সভাপতি-সম্পাদককে জোর করে স্বাক্ষর করানো, ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে ১১ ইউনিয়নেই বিদ্রোহী প্রার্থী দেওয়াসহ এক ডজনের বেশি অভিযোগ করেন নেতৃবন্দ। অভিযোগ করা হয়, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিচে কৃষকলীগের অফিস হাতুড়ি বাহিনী ও গামছা বাহিনী জোরপূর্বক দখল করে নেয়। পরবর্তীতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ছাত্রলীগের নামে অফিস উদ্বোধন করে ওই দুই বাহিনীকে বসার ঘাঁটি করে দেন। এরপর থেকে শুরু হয় অত্যাচার নির্যাতন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ মার্চ কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করে হাতুড়ি বাহিনীর আব্দুল আজিজ। কিন্তু পুলিশ তাকে ধরেনি। দুই মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আব্দুল আজিজ থানায় উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী ১১ নেতাকর্মীসহ দুই ব্যাংকার, একজন শিক্ষকের নামে মামলা করেন। গত ১৪ মার্চ হামলার শিকার হন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাবেয়া ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ বেগম, মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদব জিয়াউর রহমান, যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান পাশা।
এর আগে ১০ ফেব্রæয়ারি আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা হাতুড়ি ও গামছা বাহিনী পÐ করে দেয়। গত বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় স্তম্ভে ফুল দিতে যাওয়ার আওয়ামী লীগ নেতা সোহারাব হোসেনকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এদিন উপজেলা ডাকবাংলোর মধ্যে আতিয়ার রহমানকে মারধর করা হয়। এদিন উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চও প্যান্ডেল ভাংচুর করে হাতুড়ি বাহিনী। গত বছর ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস পালনের পর বাড়ি ফেরার পথে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রকৌশলী হাসান আলমগীরকে বেধড়ক মারপিট করে। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে ১১ ইউনিয়নেই বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। এরপর তিনি পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে নৌকার সমর্থকদের উপর নির্যাতন করে। ভোটের দিন নৌকার ব্যাচ দেখলেই পুলিশ নির্যাতন করে। সেই অরাজকতার মধ্যেও ৬টি ইউনিয়নে নৌকা বিজয়ী হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাস্টার রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আমীর হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিকুল ইসলাম, সদস্য প্রকৌশলী হাসান আলমগীরসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ