Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এবার হারতেই হলো ইংল্যান্ডকে

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ২৬ মার্চ ২০১৩, অকল্যান্ড। শেষ দিনের শেষ সেশনে যায়ার আগে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট ইয়ান বেল। কট টিম সাউদি বল্ড নিল ওয়াগনার। এরপরও ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।
২৬ মার্চ ২০১৮, অকল্যান্ড। শেষ দিনের শেষ সেশনে যাওয়ার আগে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট বেন স্টোকস। কট টিম সাউদি বল্ড নিল ওয়াগনার। কিন্তু এবার আর পরা গেল না। দানটা এবার গেছে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে। প্রায় দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও কিউইরা ম্যাচ জিতে নিয়েছে ইনিংস ও ৪৯ রানে।
এ নিয়ে শেষ ১২ অ্যাওয়ে ম্যাচের ১০টিতেই হারল ইংল্যান্ড। জয় নেই একটিও। অ্যাসেজে ৪-০ ব্যবধানে হারের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজেও হার দিয়ে শুরু। দু’দলের মধ্যকার প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট জিতে ইতিহাসটা মধুরভাবে লিখে রাখল বø্যাক ক্যাপ বাহিনী। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক (১৯৯৯ সালের পর থেকে) ধরে ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের অভাবটাও তারা কাটিয়ে ওঠার পথে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০২ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের এটি মাত্র দশম জয়।
ম্যাচ বাঁচানোর কাজটা প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই অসম্ভব করে ফেলে ইংল্যান্ড। ৫৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ বাঁচানোর আশা করাই তো হাস্যকর। এরপরও ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে নিয়ে আসে প্রকৃতির কল্যাণে। বৃষ্টির বাধায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে মোট ২৬ ওভার। এরপর আবার মাথায় চাপে ৩৬৯ রানের বোঝা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশদের প্রচেষ্টায় কোন ঘাটতি ছিল না। ম্যাচ বাঁচাতে দাঁতে দাঁত চেপে তারা ব্যাট করেছে ১২৬ ওভার। জয়ের সমান ড্রয়ের বেশ কাছেও চলে আসে তারা। কিন্তু কে জানত ওয়াগনার এভাবে দেখা দেবেন। সফরকারী দলের চার ব্যাটসম্যান করেছেন পঞ্চাশোর্ধো ইনিংস। এর তিনজনই শিকার ওয়াগনারের।
২০৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ক্রিস ওকস ও বেন স্টোকস মিলে ভালোই লড়াই চালিয়ে যান। ১৫২ রানের ব্যবধানটা কমিয়ে আনেন ৬৯ রানে। তার চেয়েও বড় হিসাব ১৮৫ বলের মোকাবেলা। বার্মি আর্মিরাও আশায় বুক বাধতে শুরু করে। কিন্তু নৈশ ভোজে যাওয়ার তিন বল আগে স্টোকসের আউটটাই আশাটা ফিকে করে দেয়। বিরতি থেকে ফিরে ২০ রানে বাকি তিন উইকেট হারায়ে যা হতাশায় রূপ নেয়। স্টোকসের ৬৬ রানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ১৮৮ বলের মোকাবেলা। ৭২ বলে ২৬ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। ১১৮ বলে ৫২ রান করে ওয়াগনারের শিকার হন ওকস। ১২৬.১ ওভারে ৩২০ রানে শেষ হয় ইংলিশদের ইনিংস।
বোল্টের পর ৩টি করে উইকেট নেন ওয়াগনার ও টড অ্যাস্টেল। ইংল্যান্ডর প্রথম ইনিংসের মূল ঘাতক বোল্ট হন ম্যাচসেরা। ম্যাচে ৯৯ রানে ৯ উইকেট নেন বাঁ-হাতি পেসার।
ইংল্যান্ড : ৫৮ ও ১২৬.১ ওভারে ৩২০ (কুক ২, স্টোনম্যান ৫৫, রুট ৫১, মালান ২৩, স্টোকস ৬৬, বেয়ারস্টো ২৬, মঈন ২৮, ওকস ৫২, ওভারটন ৩, ব্রড ১*, অ্যান্ডারসন ১; বোল্ট ৩/৬৭, সাউদি ১/৮৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/৪০, ওয়েগনার ৩/৭৭, অ্যাস্টল ৩/৩৯, উইলিয়ামসন ০/১)। নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৪২৭/৮ ডিক্লে.।
ফল : নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৪৯ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)। সিরিজ : দুই ম্যাচ সিরিজে নিউজিল্যান্ড ১-০তে এগিয়ে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ