নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দীর্ঘ ১৬ বছর আগে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমস শ্যুটিংয়ের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে স্বর্ণ জিতে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের কৃতি শ্যুটার আসিফ হোসেন খান। পরের আসরে মেলবোর্নে তিনি এই ইভেন্টের জুটিতে রৌপ্যপদক জিতলেও আসিফেরই শুধু নয়, বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্যটি এখন পর্যন্ত ম্যানচেস্টারেই। যদিও তার উত্তরসূরী লাল-সবুজদের আরেক কৃতি শ্যুটার আব্দুলাহ হেল বাকী সর্বশেষ গøাসগো কমনওয়েলথ গেমসে ১০ মিটারেই রুপা জিতে দেশের মুখ উজ্জল করলেও আসিফকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। বলা যায় বরাবরই কমনওয়েলথ গেমস শ্যুটিংয়ে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করে। এবারও এর ব্যতিক্রম কিছু ভাবছে না বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) এবং শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন। তাদের আশা আসন্ন গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমস থেকে শ্যুটিং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে। তাই তো বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার কন্ঠে ঝরলো আশার বাণী- ‘গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমস শ্যুটিংয়ে আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে পদক জয়ের। তবে বাকিরাও ভালো করার চেষ্টা করবে বলে আমার আশা। কারণ ছয় ডিসিপ্লিনের সেরা ক্রীড়াবিদদেরই আমরা গোল্ড কোস্টে পাঠাচ্ছি’। গতকাল বিওএ’র ডাচ বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথাগুলো বলেন। এ সময় গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ দলের সেফ দ্য মিশন ও বিওএর সহ-সভাপতি নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, বিওএ’র উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর ও কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল উপস্থিত ছিলেন।
পদক জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ২৪ মার্চ রাতে রওয়ানা হয়ে কাল গোল্ড কোস্টে পৌঁছেছে বাংলাদেশ শ্যুটিং দল। এই দলের বাকি দুই সদস্য শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু আগামীকাল এবং অবজারভার আমিরা হামিদ যাবেন ৩০ মার্চ। অন্যদিকে পদক জিততে না পারলেও গেমসে ভালো করার প্রত্যাশা নিয়েই যাচ্ছেন বাকি পাঁচ ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটরা। পাঁচ ভাগে বাংলাদেশের ছয় ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা গোল্ড কোস্ট যাচ্ছেন। সুইমিং, অ্যাথলেটিক্স, বক্সিং ও ভারোত্তোলনের সদস্যরা ৩১ মার্চ এবং খেলা পরে থাকায় কুস্তির ক্রীড়াবিদরা রওয়ানা হবেন ৯ এপ্রিল।
কমনয়েলথ গেমসে কেবলমাত্র শ্যুটিংয়েরই পদক জয়ের ধারাবাহিকতা রয়েছে। তাই বিওএ এবং শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের ঘোষিত বোনাস মানিও পান শ্যুটাররা। এবারও শ্যুটারদের জন্য আলাদা বোনাস ঘোষণা করেছে শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন। ফেডারেশন সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সোনাজয়ী শ্যুটারের ১০ লাখ, রুপা জয়ীর জন্য সাত লাখ এবং ব্রোঞ্জপদক জয়ীর জন্য পাঁচ লাখ টাকা বোনাস ঘোষণা করেছি। তাছাড়া বিওএ’র বোনাসতো রয়েছেই।’ তিনি যোগ করেন, ‘অনুশীলনের অর্থ বরাদ্দের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করেছি। কারণ ক্রীড়াক্ষেত্রে বারাদ্দ থাকলেও অলিম্পিকের ক্ষেত্রে সেই বরাদ্দ থাকে না। যদিও বিদেশে বিভিন্ন গেমসে ক্রীড়াবিদ পাঠানোর কাজটি করে থাকে বিওএ। আমাদের কথা শুনে অনুশীলনের জন্য অর্থমন্ত্রী বরাদ্দের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।’
কমনওয়েলথ গেমসের আগে নিবিড় অনুশীলনে ছিলেন শ্যুটাররা। শাহেদ রেজার কথায়, ‘দু’জন বিদেশী কোচের তত্বাবধানে শ্যুটাররা গত ছয়মাস অনুশীলন করেছে। আমাদের বিওএ’র সামর্থ্যরে বাইরে ফেডারেশন আরও অনেক ব্যবস্থা করেছে শ্যুটারদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য। তাই শ্যুটারদের কাছ থেকে আমরা পদকের আশা করতেই পারি।’ এদিকে পাঁচটি ডিসিপ্লিনের সঙ্গে কোচ গেলেও সাঁতার দল যাচ্ছে কোচবিহীন। কারণ দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক তেগুন এখনও ঢাকায় এসে পৌঁছেননি। তাই কোচ ছাড়াই কমনওয়েলথ গেমসে যেতে হচ্ছে সাঁতারুদের। এ প্রসঙ্গে শাহেদ রেজা বলেন, ‘গত চার বছর ধরেই বাংলাদেশের সাঁতারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন পার্ক। গৌহাটি এসএ গেমসের পর আবার তার সঙ্গে আমরা নতুন করে চুক্তি করি। কিন্তু হঠাৎ কি হলো যে, দেশে গিয়ে আর আসছেন না। বিষয়টি আমার কাছেও পরিষ্কার নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।