আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কোনো দৃষ্টান্ত নাই। তাই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়তা করবে। যেসব মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশন সম্পৃক্ত, সেগুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাবে। ফলে নির্বাচনে সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি আসবে না, তা নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন করবে কি করবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। বিএনপি নির্বাচনে এলে স্বাগত। নির্বাচনে না এলেও আমাদের কিছু করার নেই। যথাসময়ে নির্বাচনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারো জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। গতকাল শনিবার দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলার নয়াপুর এলাকায় ঢাকা বাইপাস সড়ক মেরামত কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সরকারের হাতে নেই জানিয়ে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার পুরো বিষয়টা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার। এসব মামলাগুলো তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলের মামলা। এগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের না। তিনি বলেন, মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। উচ্চ আদালত যদি নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করেন কিংবা দÐ মওকুফ করেন সাজা থেকে মুক্তি দেন, তাহলে খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন। এখানে আমাদের কিছু করার নাই। এসব ব্যাপারে আমরা অহেতুক কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। কারণ বিষয়টা সরকারের না। পুরো বিষয়টা আদালতের।
কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নালিশের রাজনীতি চাঙ্গা করছে। এখন তারা দেশের কাছে নালিশ করে না। এখন নালিশ করে বিদেশিদের কাছে। কিন্তু তারা জনগণের কাছে যাচ্ছে না। তারা আন্দোলন করতে চাইলে করুক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ যদি না চায় তাহলে আমরা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারবো না। তাই বিএনপিকে বলব বিদেশিদের কাছে নালিশ করে দেশটাকে ছোট করবেন না। জনগণের কাছে যান।
এরআগে, সড়কমন্ত্রী ঢাকা বাইপাস সড়কটির মেরামত কাজের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াইহাজার ও ঢাকা বাইপাস সড়কসহ চারটি সড়কের সংস্কার করা হবে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই মে মাসের মধ্যে এই সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।